বাগেরহাটে চলছে দ্বিতীয় দিনের লকডাউন, আক্রান্তের হার ১২ শতাংশ বৃদ্ধি

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাটে চলছে লকডাউনে দ্বিতীয় দিন। শুরু হওয়া এই লকডাউন ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। লকডাউনের ফলে বাগেরহাটে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় লোকজনের চলাচল বন্ধ আছে। জেলার প্রবেশদ্বার গুলোতে চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পরতে হচ্ছে জনসাধারণদের। বাগেরহাট পৌর এলাকাসহ জেলায় টহল দিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১০টিম।

জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গুলো ছাড়া লকডাউন এর প্রথম দিনে জেলায় সব ধরনের যাত্রীবাহী গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে ৪৯ জনকে ২৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুন) বাগেরহাট শহর ও উপজেলা সদরে অধিকাংশ চায়ের দোকানসহ মাঝে মধ্যে দুই একটি দোকান খোলা দেখা গেছে। আজ ছুটির দিন শুক্রবার থাকার কারণে জনসাধারণের উপস্থিতি অনেক কম। লোকজন মাস্ক ছাড়াই ঘোরা ফেরা ও বেচাকেনা করছে।

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে মোংলা বন্দর এই লকডাউনের আওতা মুক্ত রাখা হয়েছে। মোংলা বন্দর জেটি ও পশুর চ্যানেলে নোঙ্গর করা জাহাজের নাবিকদের মোংলা বন্দরে নামতে দেয়া হচ্ছেনা।

এদিকে বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত ও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জেলায় উপসর্গ নিয়ে একাধিক মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৪৯ শতাংশে। গেল ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আক্রান্তের হার ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনা সংক্রমণের হটস্পট জেলার মোংলা উপজেলাতে ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের পজেটিভ এসেছে। মৃত্যু হয়েছে একজনের। মোংলায় সংক্রমণের হার ৬৫. ৬২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় তিনগুণ বেশি।

এই নিয়ে বাগেরহাট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৮৬৭ জনে। এপর্যন্ত জেলায় মারা গেছে ৭৪ জন। সুস্থ হয়েছে ২হাজার ৩৮জন। এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৮ জন। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১