গাড়িচালক হলেও মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলী কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা আবেদ আলীর বিশাল সম্পদের বিষয়টি তুলে ধরে অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকায় দুটি বহুতল ভবন এবং মাদারীপুরে একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক।
যদিও এসব দাবির সত্যতা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি, তবে আবেদ আলীর নামে একটি ফেসবুক পেজে তার মালিকানাধীন একটি হোটেল সম্পর্কে পোস্ট করা হয়েছে। ১৮ মে তারিখে প্রকাশিত একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন: ‘আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা।’
আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন। ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সিয়াম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে সাহায্য করার বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি দামি গাড়ি ব্যবহার করেন এবং বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। সোহানুর রহমান সিয়াম দুটি গাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন। সেগুলোর মালিক তিনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব গাড়ির একটির মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা এবং অন্যটির দাম ৪০ লাখ টাকা। তবে গাড়িগুলো তার কি না বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
সিয়াম তার বাবা আবেদ আলীর একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন: 'আব্বু কুয়াকাটা গিয়েছিলো একটা ব্যবসায়িক সফরে, সেখানে স্থানীয় এক ছোট ভাই ছবিটি তুলে ইনবক্সে দিলো।
সাধারণত আব্বু কোন ওয়াক্তের নামাজ অবহেলা করে না, যখন যেখানে থাকে তখন সেখানেই পাক-পবিত্র জায়গা খুঁজে নামাজ আদায় করে নেয়। খুব সম্ভবত সৃষ্টিকর্তার প্রতি গভীর ভালোবাসা না থাকলে এটা সম্ভব নয়।' সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন প্রশ্ন করছেন, কীভাবে একজন গাড়িচালক এত সম্পদ অর্জন করতে পারেন।
খবর ইত্তেফাকের।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।