সৌদি কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয়ে বড় বিনিয়োগ পাচ্ছে শপআপ
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬

মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিজনেস-টু-বিজনেস বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম স্টার্ট-আপ কোম্পানি শপআপ। সৌদি আরবভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সরবরাহকারী কোম্পানি ‘স্যারি’-এর সঙ্গে একীভূত হয়ে নতুন কোম্পানি গঠন করেছে শপআপ। নতুন সেই কোম্পানির নামকরণ করা হয়েছে ‘সিল্ক’ গ্রুপ। এদিকে নতুন গ্রুপ গঠনের পরপরই ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বড় বিনিয়োগ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল শাখা এবং পিটার থিয়েলের ভ্যালার ভেঞ্চারস যৌথভাবে নবগঠিত বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম সিল্ক গ্রুপে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৯২৫ বিলিয়ন ডলারের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা সানাবিল ইনভেস্টমেন্টস এবং ভ্যালার কাতার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপে যোগ দিচ্ছে।
শপআপ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন শপিং মার্কেট প্লেস, সারা দেশে ২০০ টিরও বেশি হাব পরিচালনা করছে কোম্পানিটি। অন্যদিকে সৌদি আরব, মিশর এবং পাকিস্তানে সারি’র কার্যক্রম রয়েছে। এটি একটি প্রযুক্তিনির্ভর বিটুবি মার্কেট প্ল্যাটফর্ম। যাদের কাজ হচ্ছে উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে দ্রুত তা ভোক্তার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে তারা। কোম্পানিটি ৩০ হাজারের বেশি পণ্য সরবরাহ করে তাদের গ্রাহকদের কাছে।
শপআপের মতে, সৌদি আরবে বসবাসরত ৩০ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করেন। এসব প্রবাসী বাংলাদেশি যাতে সৌদি আরবে বসে যেন সহজে বাংলাদেশের পণ্য পেতে পারেন, লক্ষ্যে সৌদি প্রতিষ্ঠান সারির সঙ্গে শপআপকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মূলত বাংলাদেশের শপআপ ও সৌদি আরবের স্যারি একে অপরের সঙ্গে একীভূত হলেও কোম্পানি দুটি নিজের নামেই নিজ নিজ ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। তবে এই দুই কোম্পানির মালিকানায় থাকবে নতুন কোম্পানি সিল্ক গ্রুপ।
কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের মতে, ২০২৭ সালে প্রাথমিকভাবে স্টক এক্সচেঞ্জে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। সিল্ক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফ জামান বলেন, “আমরা মনে করি আইপিও-এর ক্ষেত্রে উপসাগরীয় বাজার খুবই রোমাঞ্চকর — বিশেষ করে সৌদি বাজার।”
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।