আমি রোমান্সে আছি, প্রেমে আছি: শ্রীলেখা মিত্র
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০২৩, ০০:৩০
‘আমি রোমান্সে আছি, প্রেমে আছি।’ কথাগুলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে ঢাকায় এসে এমন কথা বললেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর ধরে বিগ বসের সঞ্চালক সালমান, তবে এবার আসছে বদল
ভারতীয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সিঙ্গেল মাদার। মেয়েকে নিয়ে তিনি জীবন যাপন করছেন। কথা প্রসঙ্গে বললেন, সিঙ্গেল, বাট নট হ্যাপি টু মিঙ্গেল। তবে এই সিঙ্গেল জীবনে তিনি ভালো আছেন। বেশ ভালো আছেন বলেও জানালেন। বললেন, ‘বেশ ভালো আছি। অনেক বয়স হয়েছে। আমার মেয়ের এখন বয়ফ্রেন্ডও হওয়ার কথা।’
প্রেমে আছেন, রোমান্সে আছে জানতেই ব্যাখ্যা করে বললেন, ‘প্রেমে আছি বলতে, ওই যে আমার জীবেই আমার প্রেম। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। যার জন্য ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, যেটা আমাদের দেশেও আছে, আমি সেটার বিরুদ্ধে কথা বলি। আমি একটা মুভমেন্টও শুরু করেছি, হ্যাশট্যাগ মাই রিলিজিয়ন অব লাভ। সুতরাং আমার ধর্মই তো প্রেম।’
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২১তম আসরে অংশ নিতে গত রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন টালিগঞ্জের অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তার পরিচালনায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘এবং ছাদ’-এর প্রদর্শনী রয়েছে গতকাল। গতকাল বিকেল পাঁচটায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তাঁর সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী শুরু হয়।
উত্তর কলকাতার ছাদকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে সিনেমার গল্প। এতে মধ্যবয়সী এক গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা। অভিনয়ে আরও আছেন ছোট পর্দার অভিনেতা প্রীতম দাস। পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটি প্রযোজনাও করেছেন শ্রীলেখা। সম্প্রতি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেছেন, অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখি ও নির্মাণে মনোযোগী হবেন তিনি।
শ্রীলেখা মিত্রের পূর্বপুরুষের বসত ছিল মাদারীপুরের ঘটমাঝি গ্রামে। দেশভাগের সময় ভারতে পাড়ি দেন তারা। শ্রীলেখার জন্ম ভারতে হলেও বাবার মুখে ঘটমাঝি গ্রামের গল্প শুনে বেড়ে উঠেছেন। ২০১৭ সালের আগে বাবা সন্তোষ মিত্রকে নিয়ে পূর্বপুরুষের ভিটার খোঁজে বাংলাদেশে এসেছিলেন শ্রীলেখা। এর কয়েক বছর পর তার বাবার মৃত্যু হয়।
বিষয়: চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র প্রেম সিঙ্গেল মাদার newsflash71 News Flash Latest News Update News News
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।