বিদ্যুৎ নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন মমতাজ

শাকিল খান | প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২৩, ২০:২৫

ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎখাতে চলমান সংকটের মধ্যে ঘুরেফিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদে দেওয়া পুরোনো একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়ে যায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের।

তবে বিষয়টি নিয়ে এতদিন কিছু না বললেও অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মমতাজ বেগম। তিনি তার আগের বক্তব্যকে ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ না করার আহ্বানও জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদর) আসনের এই সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, ‘আজকে যে কথাটা বলার জন্য লাইভে এসেছি। সারাদেশের মানুষ সাময়িক একটা কষ্টের মধ্যে পড়েছি, সেটা হলো—বিদ্যুৎ। এ বিদ্যুৎ নিয়ে যেমন কষ্ট আছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে নানা ধরনের কথা, আলোচনা-সমালোচনা ও প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। যেহেতু আমি এমপি, আমার এলাকায় কী কী কাজ করেছি, কী কাজ করা বাকি আছে, সেগুলো বলার একটি জায়গা হলো সংসদ। সংসদে আমি অনেক বক্তব্য দেই। তার দু-একটি কথা ধরে অনেকেই এটার সমালোচনার ঝড় তুলেছেন, এই কষ্টের মধ্যে। কারণ, বিদ্যুৎ থাকছে না, বিদ্যুতের কষ্টটা সবাই পাচ্ছি, সেটা কম-বেশি। সবার ঘরেই আজকে এ সমস্যা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা সাময়িক সমস্যা। আপনারা জানেন, বিশ্বের কী অবস্থা। কিছুদিন আগে করোনা মহামারি গেল। তারপরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের অনেক ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে। বড় বড় দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ তো ছোট্ট একটা দেশ। সেখানে সরকার চেষ্টা করছে, আমরাও চেষ্টা করছি। তারপরও আমাদের এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমি বলব—সেটা যেন আমরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি।’

জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে দেওয়া আগের বক্তব্য প্রসঙ্গে মমতাজ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি কেন বলেছিলাম সংসদে, তা আপনারা জানেন। এটা তো মিথ্যা কথা নয়, বিদ্যুৎ যে হারে সরকার উৎপাদন করেছে, ঘরে ঘরে লাইন দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে সরকার প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেই প্রশংসা আমিও করেছি।’

মমতাজ বেগম আরও বলেন, “আমার নির্বাচনী এলাকায় আগে ৩০ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। আমি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। একসময় এলাকায় গেলে গ্রামের মা-বোনেরা এসে বলতেন—‘আপা, কিছু চাই না। আমাদের বিদ্যুতের লাইন দেন, মিটার দেন। মিটারের অভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।’ এই যে একটা সংকট ছিল, তখন সেটা কিন্তু আমরা সমাধান করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। মানুষ তখন খুশি হয়েছিল। সেজন্য সংসদে বলেছিলাম, মানুষ বিদ্যুৎ চাইত। একসময় এ চাওয়ার ব্যাপারটা আর থাকবে না। সরকার যেভাবে বিদ্যুতের লাইন দিচ্ছে, উৎপাদন করছে, ঘরে ঘরে মিটার পৌঁছে দিচ্ছে। এখন কিন্তু সত্যিকার অর্থে গ্রামে গেলে কেউ বলে না– ‘আপা, দুইটা মিটার দেন, পাঁচটা মিটার দেন।’ মিটার দেওয়ার জায়গা আসলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। এটাই কিন্তু বাস্তবতা। আর সেই কথাটাই সংসদে আমি বলেছিলাম। সেটার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, ভুলভাবে উপস্থাপন করেন অনেকেই। অসাধু কিছু লোকজন খামোখাই দুটো বাজে কথা ফেসবুক-ইউটিউবে বলার চেষ্টা করছেন।”

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top