ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি সিআইডি

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৩

সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রে ভয়ংকর খলনায়ক চরিত্রে পরিচিত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে ওঠা অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারধরের চাঞ্চল্যকর অভিযোগের ঘটনায় বড় মোড় এসেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, এ ঘটনায় উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক সুলতান মাহমুদ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলমের আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারী রাশিদা আক্তার ডিপজলের একজন অন্ধ ভক্ত ছিলেন।

তদন্তে উঠে আসে, বিভিন্ন সময় ডিপজলের সঙ্গে দেখা করতে এফডিসিতে যেতেন রাশিদা। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২ জুন গাবতলী গরুর হাটে ডিপজল আছেন ভেবে সেখানে যান তিনি। ওই সময় গাবতলীতে কোরবানির পশুর হাট চলছিল।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাদী হাসিল ঘরের ভেতরে ডিপজল আছেন মনে করে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে হাসিল ঘরের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মীরা তাকে জানান, ডিপজল সেখানে নেই এবং প্রবেশে বাধা দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে রাশিদা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে চলে যেতে অনুরোধ করা হয়।

তদন্তে আরও বলা হয়, উত্তেজনার একপর্যায়ে উপস্থিত লোকজন তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ মনে করে আটক করার চেষ্টা করলে তিনি নিজের কাছে থাকা একটি বোতলে রাখা কেমিকেল জাতীয় পদার্থ নিজের শরীরে ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। পরে পশু ব্যবসায়ীরা তাকে বুঝিয়ে হাট থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং তিনি সেখান থেকে চলে যান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওইদিন রাত ৯টার দিকে রাশিদা যাত্রাবাড়ীর বাসায় ফিরে কাউকে কিছু না বলে শুয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে তিনি চিৎকার শুরু করলে তার স্বামী আব্দুল মজিদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার শরীরে ফোসকা পড়েছে। পরদিন দুপুর ৩টার দিকে স্বামী ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরদিন তাকে বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশিদা বাংলা সিনেমার একটি গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন। পরে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ১১ জুন তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।

সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ ঘটনায় ডিপজল ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top