রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে সেভিয়ার ষষ্ঠ শিরোপা
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২২ আগষ্ট ২০২০, ১৫:০৬
ম্যাচের শুরুতে যিনি খলনায়ক, শেষ বেলায় তিনিই নায়ক। আর শুরুর নায়ক শেষ বেলায় হয়ে গেলেন খলনায়ক। খেলোয়াড়দের মতো ভাগ্য বদল হলো দুই দলেরও। পিছিয়ে পড়েও ইন্টার মিলানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে ইউরোপা লিগের মুকুট পরলো সেভিয়া।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে শুক্রবার ৩-২ গোলে জিতেছে হুলেন লোপেতেগির দল। ষষ্ঠ শিরোপা জেতা দলটির হয়ে জোড়া গোল করেন লুক ডি ইয়ং, দিয়েগো কার্লোস একটি। ইন্টারের গোল দুটি করেন রোমেলু লুকাকু ও দিয়েগো গদিন।
ইতালিয়ান দলটির দুটি গোলের পেছনেই ছিল কার্লোসের দায়। তার দুটি ফাউল ছিল ইন্টারের গোলের উৎস। শেষে ব্যবধান গড়ে দিয়ে কার্লোস যেন পুষিয়ে দিলেন সব। আন্তোনিও কন্তের দলের দুটি গোলেই জড়িয়ে আছেন লুকাকু। পরে তার পায়ে লেগেই কার্লোসের বাইসাইকেল কিক জড়ায় জালে।
বুন্ডেসলিগার দল কোলনের মাঠে উত্তেজনা ছড়ায় শুরু থেকে। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। সফল স্পট কিকে ইউরোপা লিগে টানা একাদশ ম্যাচে জালের দেখা পান লুকাকু।
কার্লোস বেলজিয়ান এই ফরোয়ার্ডকেই ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল ইন্টার। কপাল ভালো তার; পেতে পারতেন লাল কার্ড, তবে পার পেয়ে যান হলুদ কার্ড দেখে।
চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে লুকাকুর এটি ৩৪তম গোল। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে টানা ছয় ম্যাচে গোল পেলেন তিনি।
দ্বাদশ মিনিটে সমতা ফেরায় সেভিয়া। হেসুস নাভাসের চমৎকার ফ্রি-কিকে দারুণ ডাইভিং হেডে জাল খুঁজে নেন লুক ডি ইয়ং।
আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এভার বানেগার ক্রসে আরেকটি দুর্দান্ত হেডে ৩৩তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন এই ডাচ স্ট্রাইকার।
সমতা ফেরাতে বেশি সময় নেয়নি ইন্টার। ৩৫তম মিনিটে ব্রজভিচের ফ্রি-কিকে দিয়েগো গদিনের ফ্লিক গোলরক্ষককে এড়িয়ে খুঁজে নেয় ঠিকানা। লুকাকুকে আবারও কার্লোস ফাউল করলে ফ্রি কিক পেয়েছিল সেরি আর দলটি।
প্রতি-আক্রমণ থেকে ৬৫তম মিনিটে দারুণ সুযোগ এসে যায় লুকাকুর সামনে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালের দেখা পাননি তিনি। এগিয়ে এসে সেভিয়াকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক বোনো।
এবং ৭৪তম মিনিটে কার্লোসের সেই গোল। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের বাইসাইকেল কিক ঠেকাতে গিয়ে উল্টো বল জালে পাঠিয়ে দেন লুকাকু।
বদলি নামার পর সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিলেন আলেক্সিস সানচেস। গোললাইন থেকে তার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন জুঁল।
বাকি সময়ে দারুণ চেষ্টা করে ২০১১ সালের পর থেকে কোনো শিরোপা না জেতা ইন্টার। কিন্তু সমতা আর ফেরাতে পারেনি দলটি।
আগে থেকেই ইউরোপা লিগে শিরোপা জয়ের রেকর্ড ছিল সেভিয়ার। ষষ্ঠ শিরোপা জিতে ব্যবধান আরও বাড়াল তারা। তিনবারের বেশি জিততে পারেনি আর কোনো দল।
সেভিয়ার হয়ে এটাই আর্জেন্টাইন প্লেমেকার এভার বানেগার শেষ ম্যাচ। তাকে দুর্দান্ত এক বিদায় দিল সতীর্থরা। ২০১৮ বিশ্বকাপের ঠিক আগে থেকে কঠিন সময় কাটানো লোপেতেগি শিরোপা উদযাপন করলেন চোখে জল নিয়ে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।