আনারসের জুসের উপকারিতা
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২১, ০৩:১৮
শীতের আগে এই সময়টাতে আবহাওয়া তার চরিত্র বদলে ফেলে। এই সময়ে দিনে গরম আর রাতে কিছুটা ঠাণ্ডা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমার সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে ঘরে ঘরে। অবাক করার মতো হলেও সত্যি, জ্বর, সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমাসহ বিভিন্ন রোগে আনারসের জুস খুব ভালো কাজ করে। আনারসের জুসের উপকারিতা দেখে নেয়া যাক-
পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: যারা ওজন কমাতে চান, তারা নিয়মিত আনারসের জুস খেতে পারেন। এতে প্রচুর ফাইবার ও কম ক্যালরি আছে। জুসের পাশাপাশি আনারস দিয়ে সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।
হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে: আনারসের জুসে আছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের বড় উৎস। এটি হাড় মজবুত করে। প্রতিদিন এক গ্লাস করে আনারসের জুস পান করলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায়: দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে এবং দাঁত শক্ত করতেও প্রতিদিন এক গ্লাস আনারসের জুস পান করতে পারেন। মূলত আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কমাতে এবং দাঁত ঠিক রাখতে আনারসের জুস ভীষণ উপকারী।
চোখের জ্যোতি বাড়ায়: আনারসের জুস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে রক্ষা করে। এ রোগটি চোখের রেটিনা নষ্ট করে দিতে পারে এবং ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দেয়। আনারসে আছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারসের জুস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে: আনারসের জুস হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে আছে ব্রোমেলিন, যা হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আনারসের জুস পান করতে পারেন।
রক্ত জমাটে বাধা প্রদান করে: দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না আনারসের জুস। ফলে হৃদপিণ্ড শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করতে পারে খুব সহজে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।
এনএফ৭১/এমএ/২০২১
বিষয়: আনারস
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।