হেলেনার বিরুদ্ধে আইসিটি-মাদক-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১, ২২:২৭

হেলেনার বিরুদ্ধে আইসিটি-মাদক-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার সিদ্ধান্ত

হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে আইসিটি-মাদক-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে র‍্যাব। শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর গুলশান থানায় এ তিনটি মামলা করা করা হবে।

র‍্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, র‍্যাবের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল যে, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অবৈধ মাদক, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসহ বিভিন্ন সামগ্রী বেআইনিভাবে মজুদ আছে। সেগুলো উদ্ধার করতেই বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে তার বাসায় এই অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব।

তিনি আরও জানান, যেসব অবৈধ জিনিস তার বাসা থেকে জব্দ হয়েছে সেগুলোর ক্যাটাগরি অনুযায়ী অপরাধ বিবেচনায় আমরা তিনটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মামলাগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা পর হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সোয়া ৮টায় র‌্যাবের একটি টিম হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান ২ নম্বরের ৩৬ নং রোডের ওই বাসায় যায়। অভিযানের শুরুতেই হেলেনা জাহাঙ্গীর র‍্যাব সদস্যদের দেখে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। র‍্যাব ভবনের ৫ম তলায় হেলেনার বাসাটি তল্লাশি শুরু করে। রাত সাড়ে ১০ টায় র‍্যাবের নারী সদস্যসহ অতিরিক্ত সদস্য ওই বাসায় প্রবেশ করে। এসময় ওই বাসার মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অভিযান শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বের করে নিয়ে আসে র‍্যাব।

হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান চালায় র‍্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। এরপর রাতেই তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে র‍্যাব জানায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে বিদেশি মদ, বৈদেশিক মুদ্রা, হরিনের চামড়া, বিদেশি অসংখ্য ছোড়া চাক্কু এবং ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।এরপর হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গাড়িতে তুলে র‍্যাব হেড কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top