৪৮ ঘন্টার সমাপ্তি হয়নি এখনও
সাগর-রুনি হত্যার ১১ বছরেও হয়নি বিচার
নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০১:১০
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ৫৮/এ/২ বাড়ির ৫ তলার এ-৪ ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি। সেই খুনের আজ ১১ বছর অতিবাহিত হলেও মেলেনি বিচার।
হত্যা মামলায় একাধিকবার তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে। ৯৫ বার পিছানো হয়ছে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনও। কিন্তু সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল; ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আসামি গ্রেফতার করা হবে।
মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলম রোমান গণমাধ্যমকে বলেন, ১১ বছরেও কোনো অগ্রগতি নেই, আর কবে হবে। কোনো অগ্রগতি হবে না। আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। শুধু এতটুকু বলতে পারি, তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে কাজ করছেন না। আমাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ প্রতিবছর তারা নিয়ম মাফিকভাবে বলে আসছেন, দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই নয়।
আদালতও যেখানে বার বার সময় দিচ্ছেন, সেখানে আমাদের আর কি বলার আছে! তবে, জট খোলার চেষ্টা না করলে জট খুলবে না, এটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা পাঠাল বাংলাদেশ
এদিকে, সাগর-রুনি দম্পতি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে সাংবাদিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা এ হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করে খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউ আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিচার তো আমরা করতে পারব না, আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব। ডিআরইউর স্মারকলিপি আমি র্যাবের ডিজিকে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি একটা কিছু যেন তারা জানান, সেই নির্দেশনা তাদের দেওয়া হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।