জামিনের আশায় পুলিশের কথামত স্বীকারোক্তি দিয়েছি
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারী ২০২১, ২৩:৪২
নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পরে হত্যা করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার পর স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে ২৭ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মুহাম্মদ শিশির মনির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জামিনের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ আসামিদের আদালতে কী স্বীকোরোক্তি দিতে হবে তা শিখিয়ে দিয়েছে। আর জামিন পাওয়ার আশায় পুলিশের শেখানো কথা আদালতে স্বীকারোক্তি হিসেবে বলেছেন বলে জানিয়েছেন আসামিরা। তাছাড়াও ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার স্বীকারোক্তিও নেয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুলছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সেই প্রতিবেদন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। তখন আদালত লিখিতভাবে আবেদন করতে বলেন। এরপর মঙ্গলবার একটি রিভিশন মামলা করা হয়।
শিশির মনির জানান, গত ৪ জুলাই দিসা নিখোঁজ হলে দিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিতে তারা জানান, তারা স্কুলছাত্রী দিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেন।
জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু গত ২৩ আগস্ট দিসাকে খুঁজে পাওয়া যায়। বর্তমানে দিসা নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হেফাজতে। দিসা ফিরে আসায় আসামিদের দেয়া স্বীকারোক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।