ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন খেলাফত মজলিসের নেতা মামুনুল হক
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫৭
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মাওলানা মামুনুল হক আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে।
আমরা সেদিন আদালতকে বলেছিলাম, পুরো বিষয়টি যোগসাজশ করে সংঘটিত করা হয়েছে। যিনি মামলার বাদী তিনি শারীরিক পরীক্ষা দিতে রাজি হননি। তিনি স্বীকার করেছেন, মামুনুল হক তার বৈধ স্বামী। একই সঙ্গে বাদীর ছেলে আব্দুর রহমান সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তার মায়ের সঙ্গে মামুনুল হকের বিয়ে হয়েছে। তাদের ওপর চাপ তৈরি করে মামলা করানো হয়েছিল।’
নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রোমেল মোল্লা বলেন, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে যুক্তিতর্কও শেষ হয়েছে। এরপর আজ আদালত শুনানি শেষে মামুনুল হককে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাসহ এলাকাবাসী এসে তাদের ঘেরাও করেন।
খবর পেয়ে হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করে, রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালায় ও গাড়ি ভাঙচুর করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এদিকে এ ঘটনার পর ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে পুলিশ গ্রেফতার করলে ৩০ এপ্রিল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন ওই নারী।
ওই মামলায় ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে আদালত বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচার কাজ শুরুর আদেশ দেয়া হয়। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। ওইদিন সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও সাংবাদিক নুর নবী জনি সাক্ষ্য দেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।