বৃহস্পতিবার কারামুক্ত হতে পারেন বাবর

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৫৩

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পাওয়ার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কারামুক্তিতে আর বাধা নেই। বিএনপির এই নেতাকে গতকাল খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

তবে আদালত থেকে আদেশের যাবতীয় কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় তিনি কারামুক্ত হতে পারেননি। আজ বুধবারও (১৫ জানুয়ারি) তার কারামুক্তির সম্ভাবনা কম। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, কারামুক্তির কিছু কাগজপত্র তিনি ইতোমধ্যে পেয়েছেন। তবে সব কাগজ এখনো এসে পৌঁছেনি।

বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গত ডিসেম্বরে চোরাচালান মামলায় খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় খালাস পেলেন। দুপুরে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

রায় ঘোষণা শেষে বাবরের আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, কোর্ট বলেছেন আজকেই একটি অ্যাডভান্স অর্ডার সই করে দেবেন। আমি আশা করি আজকেই এই আদেশ পৌঁছানো হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর জেল থেকে মুক্তি পাবেন।

আইনজীবী বলেন, তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছেন। কারাগারে আদেশ যথানিয়মে পৌঁছানোর পর তার আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহীরা যারা আছেন, সবাই আইন-কানুন মেনে বের করে যথাসম্মানে তাকে বাসায় পৌঁছে দেবেন।

লুৎফুজ্জামান বাবরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মুক্তি পাবেন তিনি।

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মহসিন তালুকদার, এনামুল হক, রাজ্জাকুল হায়দারসহ ছয় আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top