মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু্ই আসামি
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরাতে আইনি পদক্ষেপে বাংলাদেশ
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাদের ফেরত আনতে চিঠি প্রস্তুত করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলেও নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের চিঠির সঙ্গে রায়ের অনুলিপি পাঠানো হবে কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ রায় পাঠাবে না। নোট ভারবাল (চিঠি) হিসেবে পাঠানো হবে। চিঠি দেওয়া হয়েছে কিনা– উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তুত হচ্ছে। হয়তো আজকে (মঙ্গলবার) পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দিবিনিময় সহজ করতে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি হয়। এর প্রায় আড়াই বছর পর প্রথম বন্দি হস্তান্তরের ঘটনা জানা যায়। ২০১৫ সালে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হস্তান্তর করা হয় অনুপ চেটিয়া ও নূর হোসেনকে। এর প্রায় এক যুগ পর প্রত্যর্পণ চুক্তি আলোচনায় এলো ভারতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর। তবে এ চুক্তির অধীনে ভারত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত দেবে কিনা, তা নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। বাংলাদেশ মনে করে, ভারত যদি সততার সঙ্গে এই চুক্তিকে দেখে, তাহলে ভারত অবশ্যই তাদের ফেরত দিতে বাধ্য। কিন্তু ভারতীয় বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, ভারত শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করবে না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল। ভারত তার দীর্ঘদিনের মিত্রকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে না। তবে দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের ফেরত না দিলে দিল্লি কূটনৈতিক টানাপোড়েনে পড়বে বলে মনে করেন কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিক।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গতকাল মন্ত্রণালয়ের লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স অনুবিভাগ ভারতের জন্য প্রস্তুত করা নোট ভারবালের আইনি সব দিক চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে। এটি প্রস্তুত করার পর দিল্লির উদ্দেশে পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র সচিবের ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। গতকাল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। যদিও এর আগে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ড পাওয়া ৬২ জনকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশের ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও সফল হয়নি তৎকালীন সরকার।
গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী তামিম বলেন, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করলে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার আপিলের সুযোগ থাকবে না। যদি তারা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তারা গ্রেপ্তার হলেই রায় কার্যকর হবে।
পলাতক এ দুই আসামির বিরুদ্ধে আগেই একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ রেড নোটিশ জারির আবেদন করা আছে। এখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিবর্তে কনভিকশন ওয়ারেন্ট বা সাজার পরোয়ানা দিয়ে ইন্টারপোলে আরেকটি নোটিশ জারির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা ইন্টারপোলে যাবে। এ নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ।
গাজী তামিম বলেন, পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় সোমবার ঘোষিত হয়েছে। এ রায়ের একটি সার্টিফায়েড কপি পাবে প্রসিকিউশন। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিও পাবেন। এ ছাড়া পলাতকরা যদি ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ বা গ্রেপ্তার হন, তাহলে তারাও বিনামূল্যে একটি কপি পাবেন। কবে নাগাদ রায়ের কপি পাঠানো হবে– এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর বলেন, কিছু দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন হলেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। তারা দুজনেই ভারতে আছেন। অপর আসামি রাজসাক্ষী সাজাপ্রাপ্ত সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পাঁচ বছর সাজা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, দণ্ডিত পলাতক ব্যক্তিদের আপিল করার সুযোগ নেই। আপিল করতে হলে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তার পরই তাদের পক্ষে আইনজীবী আপিল করতে পারবেন। আর আইনি প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
কী আছে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিতে
২০১৩ সালের চুক্তিতে অনুচ্ছেদ আছে ১২টি। এর মধ্যে ১ ও ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচারিক কর্তৃপক্ষের দ্বারা বিচারাধীন, অভিযুক্ত, দোষী সাব্যস্ত বা দণ্ড কার্যকরের জন্য যাদের খোঁজ চলছে, সেই ব্যক্তিদের রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে পাওয়া গেলে প্রত্যর্পণ করতে হবে। তবে অপরাধটি হতে হবে রাষ্ট্রের আইনে নূন্যতম ১ বছরের কারাদণ্ডযোগ্য।
চুক্তির প্রয়োগ কোন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে তা উল্লেখ আছে অনুচ্ছেদ ৬-এ। বলা হয়েছে, যদি কোনো অপরাধের ধরন রাজনৈতিক বলে বিবেচিত হয় তাহলে প্রত্যর্পণের অনুরোধ গ্রহণ নাও হতে পারে। তবে হত্যা, হত্যার প্ররোচনা, অপহরণ, বেআইনিভাবে জিম্মি করাসহ ১৩ ধরনের অপরাধ রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচিত হবে না।
প্রত্যর্পণ না করার ভিত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে অনুচ্ছেদ ৮-এ। যাকে ফেরত চাওয়া হবে তিনি যদি অপরাধের মাত্রা, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় কিংবা অভিযোগটি ন্যায়বিচারের স্বার্থে আনা হয়নি– এসব বিষয়ে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেন তাহলে আশ্রয় দেওয়া রাষ্ট্র প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য নয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির অনুচ্ছেদ ১০-এর ৩ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়। পলাতক অপরাধীদের দ্রুত প্রত্যর্পণ নিশ্চিতের জন্য ওই সংশোধনী আনা হয়।
মূল চুক্তির এই ধারায় উল্লেখ ছিল, প্রত্যর্পণ চাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দিতে হবে। সংশোধনী অনুযায়ী, শুধু পরোয়ানা থাকলেই প্রত্যর্পণযোগ্য বিবেচিত হবে।
এর আগে গত ২ জুলাই আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর তাঁকে ভারতের কাছে ফেরত চায় ঢাকা। কিন্তু নয়াদিল্লি সেটির আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি।
ভারতের জিন্দল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ শ্রীরাধা দত্ত আলজাজিরাকে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল। তবে ভারত কখনোই তাঁকে প্রত্যর্পণ করবে না। কোনো অবস্থাতেই না।
ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীও একই কথা বলছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘নয়াদিল্লি কীভাবে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে?’ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের আগের শাসকদের এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে বর্তমান প্রশাসনের সুসম্পর্কের প্রসঙ্গ উদাহরণ হিসেবে দেখান তিনি।
পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর মেয়াদে ভারতের প্রতি বন্ধুসুলভ মনোভাব দেখিয়েছেন। এখন ভারতের পক্ষ থেকেও নৈতিক অবস্থান নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান হলে কী হবে? বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক প্রতিবেদক অন্বরাসন এথিরাজনের মতে, ঢাকার কাছে বিরূপ কূটনৈতিক সংকেত যাবে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও চাপের মুখে ফেলবে। আর অনুরোধ মেনে নেওয়ার মানে হলো; দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রকে উপেক্ষা করা। ফলে ভারতকে এখন খুবই সংবেদনশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ পথে হাঁটতে হবে।
ফেরানো যায়নি ৬২ জনকে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ১৪ বছরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারে মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ বিভিন্ন মেয়াদে ১৫৫ জনের সাজা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের (ফাঁসি) রায় হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন ৬২ জন। তাদের ইন্টারপোলে নোটিশ জারির পরও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। পলাতক অবস্থায় এদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন।
রায়ের কপি যাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে
জুলাই গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মামলার রায়ের অনুলিপি আজকালের মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে পাঠানো হবে। পাশাপাশি রায়ের কপি যাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ও আইজিপি কার্যালয়ে। রায়ের কপি পাবেন দণ্ডিত রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও।
দু-একদিনের মধ্যে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের এ কপি পাঠানো হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকায় গতকাল এ-সংক্রান্ত নথি প্রস্তুত করা যায়নি।
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিন মামলা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও তিনটি মামলা তদন্তাধীন। ক্ষমতায় থাকাকালে গুম, অপহরণ, হত্যাচেষ্টা ও সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা, হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে রয়েছে ৫৮৬টি মামলা। দুদকের দায়ের করা মামলা রয়েছে ছয়টি।
এক দিন আগেই দিল্লি গেলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের। তবে বুধবারের পরিবর্তে গতকাল সন্ধ্যায় ভারত পৌঁছেছেন তিনি।
মূলত সিএসসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সপ্তম সম্মেলন আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকালে জোটের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলন শুরু হবে। আর মধ্যাহ্নভোজের পর তা শেষ হবে। ওই দিন বিকেলেই খলিলুর রহমানের ঢাকার উদ্দেশে দিল্লি ছাড়ার কথা রয়েছে।
ড. খলিলুর রহমান এমন এক সময়ে দিল্লিতে গেলেন, যখন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার বেশ আগেই দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে। সব মিলিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিল্লি অবস্থানকালে তাঁর সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয় কিনা– তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।