খুলনায় পারিবারিক বিরোধে দুই শিশু ও নানিকে হত্যা

খুলনায় একই পরিবারের দুই শিশু এবং তাদের নানিকে নির্মমভাবে হত্যার রহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, পারিবারিক সম্পত্তির দখলকে কেন্দ্র করে চালানো হয় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। গত ১৬ নভেম্বর খুলনা নগরীর লবণচরা থানা এলাকায় শিশু ফাতিহা, মুস্তাকিম এবং তাদের নানি মহিতুন্নেছাকে হত্যা করে তাদের আত্মীয় শেখ মোহাম্মদ শামীম আহমেদ।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, নিহত দুই শিশুর বাবা শেফার আহ্মেদ এবং গ্রেপ্তার আসামি শামীম আহমেদ মামাতো-ফুফাতো ভাই। দীর্ঘদিন ধরে রুপসার পারিবারিক জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শামীম কারাগারে থাকা অবস্থায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে পরিচিত হন এবং কারাগার থেকে বের হয়ে টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে প্রতিপক্ষের পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেন। ১৬ নভেম্বর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে শেফার আহম্মেদের বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন।

ঘটনার পর শামীম পলাতক থাকে এবং বিদেশে পালানোর চেষ্টা করলেও ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের মাধ্যমে বুধবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে খুলনার লবণচরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শামীম ট্রিপল মার্ডারের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ নম্বর আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং পরবর্তীতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও লবণচরা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইউসুফ আলী বলেন, শামীম যে কোনো মুহূর্তে দেশ ছাড়তে পারেন, তাই তার ছবি ও তথ্য দেশের প্রত্যেক সীমান্তে পাঠানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দর পুলিশ তাকে আটক করে মামলা তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

এনএফ৭১/ওতু