রাজধানীতে মা–মেয়ে হত্যা : স্বামীসহ গৃহকর্মী রিমান্ডে
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:১৭
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম শুনানি শেষে আয়েশার ছয় দিন এবং রাব্বি শিকদারের তিন দিনের রিমান্ড অনুমোদন করেন।
এর আগে সকালে তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সহিদুল ওসমান মাসুম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ ও কাইয়ুম হোসেন নয়ন উপস্থিত থাকলেও আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
বুধবার সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে আয়েশা ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, ৮ ডিসেম্বর নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৫ ডিসেম্বর আয়েশা খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে বাড়িটিতে কাজ শুরু করেন। ঘটনার দিন ৮ ডিসেম্বর সকালে বাদী আজিজুল ইসলাম কর্মস্থলে (উত্তরা) অবস্থানকালে স্ত্রীকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বেলা ১১টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি দেখতে পান—
-
স্ত্রী লায়লা ফিরোজ গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় নিহত,
-
মেয়ে গুরুতর জখম হয়ে মেইন গেটের পাশে পড়ে আছে।
স্থানীয় পরিচ্ছন্নকর্মী মো. আশিকের সহায়তায় মেয়েকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাদী আজিজুল ইসলাম বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেন—
-
সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে গৃহকর্মী আয়েশা বাসায় প্রবেশ করেন,
-
সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে মেয়ের মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চলে যান।
ফুটেজ বিশ্লেষণে ধারণা করা হচ্ছে, সকাল ৭টা ৫১ থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-মেয়েকে হত্যা করা হয়।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।