মার্কিন দপ্তরে সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল প্রসঙ্গ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৪
সম্প্রতি দেশে ১৮৪ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে। বাংলাদেশে সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারের প্রতি যেন যথাযথ সম্মান দেখানো হয়, তা নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সম্প্রতি তিন দফায় দেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং এই প্রসঙ্গ তুলে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ‘বাংলাদেশে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ব্যুরো চিফসহ ১৮৪ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক খবরে বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহায়তার জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর এই বিধিনিষেধ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপের বিষয়ে বিবেচনা করছে? সম্প্রতি কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছে। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কী?’
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি ওই প্রতিবেদন দেখিনি। এটা যদি সত্য হয়, তাহলে অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক।’ তিনি বলেন, ‘এটা আমরা জোরালোভাবে মনে করি, যেকোনো পরিস্থিতি, অবশ্যই বাংলাদেশ পরিস্থিতির জন্য সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা এটা উৎসাহিত ও নিশ্চিত করতে চাই যে সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’
এ ছাড়া শহীদ নূর হোসেন দিবসে ১০ নভেম্বর ঢাকায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে এবং এ বিষয়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র কী বার্তা দেবে, সে প্রশ্ন করা হয় ব্রিফিংয়ে।
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তাঁরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত ও বিরোধী মতসহ সবার সমাবেশ করতে পারার অধিকারকে সমর্থন করেন। তাঁদের মতে, যেকোনো গণতন্ত্রের জন্য এসব স্বাধীনতা অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।
বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সব অংশীদারদের যাতে সহযোগিতা হয়, সে জন্য আমরা সবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করি। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সব বাংলাদেশির জন্য এসব স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা ও সুরক্ষা করা জরুরি।’
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।