না ফেরার দেশে চলে গেলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:১৮

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মি‌নি‌টে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ‌তি‌নি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ রায়হান। উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে ঢাকার এই হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি হন তি‌নি।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেদা চৌধুরীর ছেলে সাহাব আকবর চৌধুরী লাভু। তিনি জানান, তার মা রাত ১১টা ৪০ মি‌নি‌টে মারা গেছেন।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম সাজেদা চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর তার নির্বাচনী এলাকা নগরকান্দায় হবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সাজেদা চৌধুরীকে। এসব তথ্য জানান, সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ রায়হান।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ।

সাজেদা চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে, তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। সাজেদা তরুণ বয়সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন সাজেদা চৌধুরী, তখন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে বাংলাদেশ গার্লস গাইডের ন্যাশনাল কমিশনারও ছিলেন তিনি।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাজেদা। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে ফেরার পর তার সঙ্গেও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯২ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাজেদা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও শেখ হাসিনা তাকে দিয়েছিলেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনে গঠিত সংসদীয় বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top