পিএসজিকে হারিয়ে ইউরোপ সেরা বায়ার্ন
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৪ আগষ্ট ২০২০, ১৭:৩৪
শিরোপার কাছে গিয়েও ইতিহাস গড়া হলো না পিএসজির। তবে আসর জুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা বায়ার্ন মিউনিখ নিজেদের যোগ্যতায় ট্রফি ঘরে তুলেছে। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে হান্স ফ্লিকের দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ষষ্ঠ শিরোপা আদায় করে নিলো।
রোববার রাতের ফাইনালে লিসবনে কিংসলে কোমানের একমাত্র গোল দুই দলের মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ২০১২-১৩ মৌসুমের পর এবারো ইউরোপ সেরার ট্রফি জিতল বায়ার্ন।
অদম্য হয়ে ওঠা বায়ার্ন চলতি মৌসুমে সম্ভাব্য সবকটি শিরোপাই নিজেদের করে নিয়েছে। ২০২০-এ কোনো ম্যাচ না হেরে অপরাজিত দলটি এই নিয়ে টানা ২১ ম্যাচ জয়ের পথে উঁচিয়ে ধরলো বুন্ডেসলিগা, জার্মান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।
বায়ার্নের সমৃদ্ধ ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ‘ট্রেবল’ জিতল দলটি। ২০১২-১৩ মৌসুমে প্রথমবার তারা জিতেছিল ইয়ুপ হেইঙ্কেসের কোচিংয়ে।
প্রথম সুযোগ আসে খেলার ১৮ মিনিটে। কিলিয়ান এমবাপের ডি-বক্সে বাড়ানো বল ধরে কোনাকুনি শট নেন আগের দুই ম্যাচে আলো ছড়ানো নেইমার। তবে পা বাড়িয়ে কর্নারের বিনিময়ে তা ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।
চার মিনিট পর প্রতিপক্ষ শিবিরে বারবার হানা দিয়ে ভীতি ছড়ায় বায়ার্ন। চোট পেয়ে ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়াটেং মাঠ ছাড়ার পর বদলি নামেন নিকলাস সুলে।
আসরে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করা লেভানদোভস্কি ৩১তম মিনিটে ছোট ডি-বক্সের বাইরে থেকে বলে ঠিকমতো মাথা লাগাতে পারায় সুযোগ হারান। তবে পড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তার সোজাসুজি হেড দুবারের চেষ্টায় ঠেকান কেইলর নাভাস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেইমারকে বায়ার্নের জিনাব্রি অহেতুক ফাউল করলে কিছুটা উত্তাপ ছড়ায় দু’পক্ষের মাঝে। এসময় জিনাব্রি ও পিএসজির লেয়ান্দ্রো পারেদেসকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
গোছানো এক আক্রমণে ৫৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। জসুয়া কিমিচের ক্রসে লাফিয়ে কোনাকুনি হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন কোমান।
ইউরোপের ক্লাব সেরার মঞ্চে এটি জার্মান চ্যাম্পিয়নদের ৫০০তম গোল। তাদের আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছে কেবল দুই স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা।
দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ তৈরি করেছিলেন কোমান। তবে শেষ অবধি ১-০ গোলের জয় নিয়েই উৎসবে মাতে বায়ার্ন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।