আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার ভিত্তি নেই

মার্চের প্রথম সপ্তাহে দেশে আসছে আদানির বিদ্যুৎ: নসরুল হামিদ

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৭:০৮

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

মার্চের প্রথম সপ্তাহে দেশে ভারত থেকে আদানির বিদ্যুৎ আসবে। আন্তর্জাতিকভাবে আদানি নিয়ে যে বিতর্ক আছে, এক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। এ কথাটি জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি আরও বলেন, আদানির বিদ্যুৎ মার্চেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এ বিদ্যুতের দাম পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে বেশি হবে না। এছাড়া আদানির দ্বিতীয় ইউনিট থেকে এপ্রিলে বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার কোন ভিত্তি নেই। আমরা প্রতিযোগিতামূলক বাজার দরেই বিদ্যুৎ পাব। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের সুযোগ নেই। মার্চে প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৭৫০ মেগাওয়াট। এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আসবে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করছি। যার জন্য গ্যাসও আমরা বৃদ্ধি করছি। গ্যাসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। আমরা শিল্পে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করছি, বিদ্যুতেও গ্যাসের পরিমাণ বাড়াবো, যাতে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চসহ বিদ্যুতের অবস্থা ভালো থাকে।

নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, সেগুলো একটার পর একটা আসা আরম্ভ হবে। আমরা পায়রা তো পাচ্ছি, পুরোটাই পাচ্ছি আমরা। আমরা আশা করছি রামপালও চলে আসবে। আমরা আশা করছি বরিশালের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে আসবে। আমরা আশা করছি, এসএস পাওয়ার সেটা চলে আসবে।

আদানির সঙ্গে চুক্তির সংশোধনীর কথা বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যা চুক্তি হয়েছে, তাই থাকবে। সেখানে বেশিকম হবেই। এটা নির্ভর করে বিশ্বের প্রাইস ও ইনডেক্সের উপর। যেভাবে আমাদের চুক্তি হয়েছে সেভাবেই আমরা বিদ্যুৎ আনব।

কয়লাম দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, কয়লার দাম এখন যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় নিলে আমরা প্রতিযোগিতামূলক দামে পাবো। কারও থেকে কারও বেশি না। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তিনি এসব কথা জানান।

 

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top