বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যা করেছে, সেই উদ্দেশ্যটা সফল হয়নি

হিরো আলমের নাম নিয়ে অহেতুক বিতর্কে যেতে চান না ওবায়দুল কাদের

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৭:৫২

ওবায়দুল কাদের

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের অভিযোগের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, সরকার ষড়যন্ত্র করে তাকে হারিয়েছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন এলাকায় কত ভোট পড়েছে আমি বলেছি। এটাও বলেছি, উপনির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম থাকে। তারপরও গাইবান্ধায় ৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে; কম না। ঠাকুরগাঁওয়ে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ছিল। বগুড়ায় যার কথা বলছেন, এই নাম নিয়ে অহেতুক আর বিতর্কে আমি যেতে চাই না। বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যা করেছে, সেই উদ্দেশ্যটা সফল হয়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় হলো গণঅভ্যুত্থান, লাল কার্ড। সেখান থেকে তারা (বিএনপি) কোথায় নামলো? নীরব পদযাত্রা। আন্দোলন শুরু হলো কোথায়, আন্দোলন তো শেষ! শুরু করেছে গরম দিয়ে, এখন এসে এত নরম দিয়ে। গণবিস্ফোরণের ডাক দিয়ে, অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে পদযাত্রা, পথ হারিয়ে পদযাত্রা।

তিনি আরও বলেন, তারা কী বলছে সেটা না, দেশের মানুষ কী ভাবছে সেটা হলো বড় কথা। জনগণ তাদের (বিএনপি) আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছে না। তাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছে। কাজেই এই আন্দোলনের কোনো ফল নেই। এটা ব্যর্থ হবে, তারা হেরে গেছে।

বিএনপির সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞা আনতে লবিং করেছিল, লাভ হয়নি। ডোনাল্ড লু এসে কথাবার্তা বলবে, উনাদের আশার বাণী শোনাবে, সেটাও হয়নি। তাহলে এখন আর কোন আশায় বসে আছে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন তারা কেবল একই সংগীত গাইতে থাকবে আন্দোলন, আন্দোলন। আবার তলে তলে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না আন্দোলনের কথা বলে, সেটাও আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বিএনপি লং মার্চ ডাক দেবে, শর্ট মার্চ হয় কি না সন্দেহ আছে, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মানুষ ভোট দেয়ার প্রতি কেন আগ্রহ হারাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই উপনির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কম থাকে। কেননা এটা দিয়ে তো সরকারের বা এটা দিয়ে খুব বেশি লাভ-ক্ষতি কেউ খুঁজে পায় না।

জাতীয় নির্বাচনেও কি এরকমই থাকবে- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচন আর উপনির্বাচন এক কথা না। এখানে অনেকগুলো বিষয় থাকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনে প্রধান দলগুলো অংশগ্রহণ না করলে সেখানে তারতম্য হবে। কিন্তু যেহেতু জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনের বিষয় আছে, সেখানে অবশ্যই ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক চাই। আমরা চাই না ফাঁকা মাঠে গোল দিতে। এটা হওয়া উচিত না, গণতন্ত্রের জন্যও ভালো না। এ সময় 'অমানুষ' চলচ্চিত্রের একটি গানের লাইন উদ্ধৃত করে কাদের বলেন, বেদনার বালুচরে কোন আশায় বাঁধিয়াছি ঘর—ফখরুল সাহেবের এখন এই অবস্থা।

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top