কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২৪ সেপ্টেম্বর
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩০
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় এসেছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে এলেও এখনো তার কাছে উপস্থাপিত হয়নি। এদিকে ষষ্ঠবারের মতো কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ যেটা ছয় মাস ছিল, সেটা বাড়ানো হয়েছি কি-না? আবার বলা হচ্ছে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আমি বলতে চাই। আমি জানতে পেরেছি, শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেগম খালেদা জিয়ার একটি আবেদন ফাইল করেছেন। এ ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনও আসেনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মতামত দেওয়ার পর এটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যে তথ্য (মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ও বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত) টেলিভিশনে দেওয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অসত্য।
খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এখনও আবেদনটি আসেনি। এলে আমি নিষ্পত্তি করব। আমি যখন এটি নিষ্পত্তি করব, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) অবশ্যই জানাব। আমার কাছে এখনও ফাইল আসেনি, তাই বলতে পারব না ফাইলের মধ্যে কী আছে।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’র ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্র্বতীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওইদিনই হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর গত প্রায় তিন বছরে দফায় দফায় বাড়ে মুক্তির মেয়াদ।
৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া প্রায় তিন বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরো পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।
বিষয়: খালেদা জিয়া মুক্তির মেয়াদ আবেদন আইন মন্ত্রণালয় কারাবন্দী খালেদা জিয়া দণ্ড স্থগিত News newsflash71
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।