শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি জারি করবে মন্ত্রণালয়
বন্ধ হচ্ছে ইউটিউব-আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:০৪
ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন (আইপি টিভি) এবং ইউটিউব চ্যানেলে কোনো সংবাদ প্রচার করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আইপি টিভি ও ইউটিউবে সংবাদ প্রকাশ বন্ধে মন্ত্রণালয় শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে এফডিসিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা নিয়ম বহির্ভূত। গণমাধ্যম নীতিমালা মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী এগুলো সংবাদ প্রচার করতে পারবে না। আজকালের মধ্যে এটি বন্ধে মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এজন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ তিনি নিয়েছেন। সিনেমা হল নির্মাণ এবং পুরোনো হল সংস্কারের জন্য সহজ শর্তে ১ হাজার কোটি টাকার এক বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে অনেকেই দরখাস্ত করেছেন। অনেকে সিনেপ্লেক্স চালু করেছেন এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলও চালু হয়েছে। দু’বছর করোনা মহামারির বেড়াজালে আবদ্ধ না থাকলে আরো সিনেমা হল চালু হতো।
হাছান মাহমুদ জানান, চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ ও সংখ্যা দুটিই বেড়েছে। এফডিসিতে নতুন দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ চলছে, সেখানে চারটি শুটিং স্পট থাকবে এবং একজন নির্মাতা সেখান থেকে একটা সিনেমা বানিয়ে মুক্তি দিতে পারবেন। এছাড়াও চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য নেওয়া একশ একর জায়গায় চলচ্চিত্র নির্মাণের সব সুবিধা তৈরি করা হচ্ছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশন থেকে সদ্য পাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে ডিজিটাল করতে পেরেছি। বহু নাগরিক সেবা ও সুবিধা এখন ডিজিটাল। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। কী পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে। আমি এইমাত্র আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তারা ঘোষণা করেছে যে, ৩০০ আসনেই প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। এ নিয়ে আমাদের দল দলীয়ভাবে আলাপ আলোচনা করে জানাবে। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং স্বাধীনভাবেই যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ইভিএম কেনা আর মেরামতের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে যে বাজেট চাওয়া হয়েছে সেটি এক বিলিয়ন ডলারের বেশি। আজকের পরিস্থিতিতে এই এক বিলিয়ন ডলার খরচ করার যৌক্তিকতা আছে কি না সে নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।
এরআগে, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শিল্পী সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তথ্যমন্ত্রী। পরে এফডিসিতে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।