দেশে কেউই অতি দরিদ্র থাকবে না
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ২২:১৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশে দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। অতি দরিদ্রের হার মাত্র ৫.৬ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছি। আল্লাহর রহমতে দেশে কেউই অতি দরিদ্র থাকবে না। আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সততা নিয়ে কাজ করছি বলেই কিন্তু আল্লাহ আমাদের সহায় হয়েছে।সোমবার চতুর্থ পর্যায়ে দেশে আরও পঞ্চাশটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুতে দীর্ঘদিন ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে। আলেমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা মসজিদে নামাজ পড়বেন, তখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বিদ্যুতের সুইচগুলো বন্ধ করে রাখবেন। ওটা শুধু মসজিদের ক্ষেত্রে না, আপনাদের বাড়িতেও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন, এতে আপনাদের বিলও কম হবে, বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি তার অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ আমরা দিচ্ছি। বিরাট অংকের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, সেই ভর্তুকি দীর্ঘদিন দেওয়া সম্ভব না। সেই কথাগুলো সকলের মাথায় রাখতে হবে। কোনোভাবে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস অপচয় না ঘটে। ইসলাম ধর্মে অপচয়ের ব্যাপারে না রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাঝে মাঝে আমাদের কোমলমতি ছেলেদের বিভ্রান্তি পথে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা যেন জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত না হয়। সেজন্য তাদের বুঝাতে হবে যে ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। মানুষ খুন করলে কখনও বেহেস্তে যাওয়া যায় না, খুন করলে দোজখেই যেতে হয়, এ বিষয়টা মানুষকে সচেতন করতে হবে। মসজিদের ইমাম, আলেম, খতিবদের সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখে, আপনাদের কথার গুরুত্ব রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মাদক, নারীর প্রতি সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, অহেতুক মিথ্যা কথা বলে গুজব ছড়ানো, গৃহকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণ, দুর্নীতি ইত্যাদির বিষয়ে মসজিদের খুতবা দেওয়ার সময় যদি আপনারা বেশি করে বোঝান তাহলে কিন্তু মানুষ সেটা গ্রহণ করে। বিশেষ করে জুমার দিন যে খুতবা দেওয়া হয় তখন ভালোভাবে তুলে ধরা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি উপজেলায় মসজিদ নির্মাণ করে করে ইসলাম ধর্ম প্রচার প্রচারে সুযোগ করে দেব। আজকে আমরা ৫০টি মসজিদ উদ্বোধনের জন্য সমবেত হয়েছি, রমজান মাসে উদ্বোধন করতে পেরেছি, এজন্য সকলকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে কিছু দোয়া করতে বলব, আমরা যেন আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।
সরকারপ্রধান বলেন, ধর্ম প্রচার প্রসার, ইসলামিক শিক্ষার মান আরও উন্নত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। মাদ্রাসা শিক্ষাকে অনেকে অবহেলার চোখে দেখতো কিন্তু এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মাদ্রাসা শিক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু হয়, কাজেই তাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের জাতীয় শিক্ষা নীতিমালাতেও আমরা ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি। এ ছাড়া মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমও আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম শুরু করে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কে বেহেস্তে যাবে, কে দোযখে যাবে তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সিদ্ধান্ত নিবেন। আল্লাহর ওপর সে ভরসা রেখে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করি। সকলের সমান অধিকার রয়েছে সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের পবিত্র ধর্মকে যেন অন্যভাবে কলুষিত করতে না পারে, সেদিকে আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নজর রাখতে হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।