শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা

শাকিল খান | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩, ১৮:৩৯

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোখা গত ৬ ঘণ্টায় ১৩ কিমি বেগে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। রবিবার দুপুরে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় মোখা বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করছে। ফলে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসলীলা নিয়ে নানা রকম আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ই যত বেশি সময় ধরে জলভাগের ওপরে অবস্থান করে, তত তার শক্তি এবং ধ্বংসক্ষমতা বেশি হয়। সমুদ্র থেকেই যাবতীয় শক্তি সঞ্চয় করে সে। মোখার ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ মুহূর্তে মধ্য ও দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মোখা। সেখানে গত ৬ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের ওই এলাকাতেই ধীরে ধীরে উত্তর দিকে এগিয়েছে।

উত্তরে অগ্রসরের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার। আরও কিছুক্ষণ উত্তর ও উত্তরপশ্চিম দিকে এগোবে মোখা। তার পর সাগরেও উল্টো দিকে বাঁক নেবে।

এ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় মোখার অবস্থান পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে। এ ছাড়া বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে মোখার দূরত্ব দক্ষিণপশ্চিমে ৯৫০ কিলোমিটার। মিয়ানমারের সিতওয়ে থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে মোখা।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় জনগণের জানমালের ক্ষতি যাতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে সে লক্ষ্যে সরকারিভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার প্রশাসন বৃহস্পতিবার থেকেই জনগণকে সতর্ক করছে।

গতকাল রাত ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘অতিপ্রবল’ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top