আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন থেকে কী চমক নিয়ে আসবেন রাষ্ট্রপতি?
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৯
ইন্দোনেশিয়ায় আসিয়ানের ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানাকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো স্বাগত জানান।
আসিয়ান চেয়ার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ আমন্ত্রণে এবারের আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনে আসিয়ানের সদস্য ও সহযোগী দেশগুলো ছাড়াও একাধিক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আসিয়ান দেশগুলির ১০টি সাংগঠনিক নেতাদের সাথে, বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং অংশীদার দেশগুলির নেতারা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন।
আসিয়ান মহাসচিব বলেন, আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্র্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের মতো ২৭ জন বিশ্ব নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে বহিরাগত অংশীদারদের সাথে সংস্থার সহযোগিতার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ, দক্ষিণ চীন সাগর সংক্রান্ত আচরণবিধি, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত অঞ্চল (এসইএএনডব্লিওএফজেড), আসিয়ান মেরিটাইম আউটলুক, আসিয়ান আউটলুক ইন ইন্দো প্যাসিফিক (এওআইপি) মতো বেশ কয়েকটি গুররুত্বপূর্ণ থিম এবং মিয়ানমার সম্পর্কিত সমস্যার ওপর আলোকপাত করা হবে।
আসিয়ান সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে, এই শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ান অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, সুনীল অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পেমেন্ট ইকোসিস্টেম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ১৮তম ‘ইস্ট এশিয়া সামিট (ইএএস)’ এ যোগ দেবেন, যেখানে তিনি এর সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতা দেবেন। আসিয়ানের ১০টি দেশ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রুশ ফেডারেশন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারত পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে।
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনটি একটি দ্বিবার্ষিক সভা। এটি একটি বিশিষ্ট আঞ্চলিক (এশিয়া) এবং আন্তর্জাতিক (বিশ্বব্যাপী) সম্মেলন হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের নেতারা বিভিন্ন সমস্যা এবং বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই শীর্ষ সম্মেলন ও বৈঠকে যোগদান করেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।