আজ থেকে ২ দিনের টানা অবরোধ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৩
আজ থেকে আবারও বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী কয়েকটি দলের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি শেষে এক দিন বিরতি দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল কিংবা অবরোধের ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানা গেছে।
এদিকে অবরোধের আগের রাতেই রাজধানীতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরেও কয়েকটি স্থানে গাড়িতে আগুনের খবর পাওয়া গেছে। আগের বারের তিন দিনের অবরোধ চলাকালে সারাদেশে অন্তত ৮৫টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। মারা যান তিনজন।
অন্যদিকে সরকার বিরোধীদের অবরোধে সড়ক, রেল ও নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি। মালিক পক্ষ এবারও অবরোধে গাড়ি চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও অবরোধ ঠেকাতে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ও সরকারে পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা–কর্মীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালেও।
বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাংচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।
ওই দিন সন্ধ্যায় রোববার সারা দেশে সকাল–সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। হরতালের মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। তাদের কর্মসূচির সাথে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীও তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তাদের এ অবরোধ শেষদিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন করে রোববার ও সোমবার অবরোধের কর্মসূচী ঘোষণা করে দলটি। প্রতিবারের মতো এবারও এই অবরোধে নিজেদের সমর্থন জানিয়ে একই কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেয় জামায়াতে ইসলামী।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।