সারাদেশে ১২ ঘণ্টায় ১২ জায়গায় আগুন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:৫২

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ সকাল ৬টা থেকে। তবে অবরোধের আগের রাত থেকেই রাজধানীসহ অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন স্থানের পাওয়া খবর অনুযায়ী ১২ ঘণ্টায় অন্তত ১২টি স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এটি বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় অবরোধ। রোববার ৫ নভেম্বর সকালে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর কর্মকর্তা (মিডিয়া) তালহা বিন জসিম।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৬ পর্যন্ত (অবরোধের আগের রাতে) ১২টি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

১২টি ঘটনার মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৭টি, ঢাকা বিভাগে (নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর) ২টি, রাজশাহী বিভাগ (সিরাজগঞ্জ) ১টি, বরিশাল (চরফ্যাশন) ১টি, রংপুর (পীরগঞ্জ) ১টি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯টি বাস, ১টি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় পুড়ে যায়। 

মিডিয়া বিভাগ আরও জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় মিরপুর লিংক নামে একটি বাসে, তার পাঁচ মিনিট পর এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লান সিটির সামনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির একটি বাসে, রাত দশটার দিকে যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ জনপদ মোড় এলাকায় রাইদা পরিবহনের একটি বাসে, রাত ১১টায় গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের সামনে মনজিল পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

এছাড়া রাত ১১টা ৪২ মিনিটে দিকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাসে, তার তিন মিনিট পর ভোলার চরফ্যাশন নতুন বাসস্ট্যান্ডে যমুনা এক্সপ্রেস নামের একটি বাসে, রাত তিনটায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বাদলপুর আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে, ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জ তিন রাস্তার মোড় এলাকায় গাড়ির টায়ারে, ডেমরার মাতুয়াইল এলাকায় একটি বাসে, শ্যামপুর জুরাইন মাঠ এলাকায় একটি বাসে, মিরপুর ও গাজীপুরের ভোগরা এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

এর আগে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। এ দিন রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।

সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে বেশ কয়েকজনের প্রাণ গেছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে কয়েক ডজন যানবাহন ও স্থাপনা।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top