• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


কী লেখা আছে আয়ানের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদনে?

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:১৫

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাণ যায় শিশু আয়ান আহমেদের। সে ঘটনায় হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক (আইন) ডা. পরিমল কুমার পাল প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

তার সঙ্গে ছিলেন- সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। রিটের পক্ষে ছিলেন- অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। পরে আদালত প্রতিবেদন অ্যাফিডেভিট আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন এবং শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়ান ‌চাইল্ডহুড অ্যাজমা সমস্যায় ভুগছিল। শ্বাসকষ্টের জন্য তাকে মাঝে মাঝে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দিতে হতো। সুন্নতে খতনার অস্ত্রোপচারের আগে ওয়েটিং রুমে তাকে নেবুলাইজার ও ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি চিকিৎসকদের জানানো হয়নি।

আয়ানের অস্ত্রোপচারের সময় স্বাভাবিক রক্তপাত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি সুন্নতে খাতনা করাতে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে একই প্রতিবেদনে চারটি সুপারিশ করা হয়।

সেগুলো হলো– হাসপাতালে একাধিক অ্যানেসথেসিওলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া, রোগী ও তার আত্মীয়কে অ্যানেসথেসিয়া ও অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি ভালোভাবে জানানো, হাসপাতালে আইসিইউ ব্যবস্থা রাখা, সরকারের অনুমোদনের পরে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা।

এর আগে বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে আয়ানের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সনদ বাতিল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান আকন্দ মাসুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইউনাইটেড গ্রুপের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে এ পর্যন্ত কত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই শিশু মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়।

এ ছাড়া দেশের সব সরকার অনুমোদিত ও অননুমোদিত হাসপাতাল-ক্লিনিকের তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয় এক মাসের মধ্যে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডা ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। সেখানে ওই শিশুকে অস্ত্রোপচারের আগে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। পরে ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১১টা ২০ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top