শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বঙ্গভবনের সামনে জনতার বিক্ষোভ, সেনাবাহিনীর জলকামান মোতায়েন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:০৮

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি।

হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায়। সেখানে তারা ভেতরে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ। পাশেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় আরেকটি গ্রুপকে।

এদিকে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি, জলকামান।

বঙ্গভবন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বঙ্গভবন ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র‌্যাবসহ আইনশঙ্ঘলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহরিয়ার আলী বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। দুই-তিনটা ব্যানার নিয়ে এখানে কিছু লোক বিক্ষোভ করছে। তাদের বাধা দেওয়া সত্ত্বেও আন্দোলন করছে। আমরাও সতর্ক অবস্থানে আছি।

অন্যদিকে একই দাবিতে জাতীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী। সেখানে তারা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করছেন। সন্ধ্যার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে যাবেন।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং দেশত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।

এদিকে সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘(পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’ মূলত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর থেকে তার পদত্যাগের দাবি তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্বদানকারীরা।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top