জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধানের পদত্যাগ দাবি
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৪
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতির পক্ষে সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার এ আল্টিমেটাম দেন।
তিনি বলেন, বিতর্কিত কর্মকর্তা মুয়ীদ সাহেব। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুয়ীদ ভাইয়ের অপসারণ চাই। সরকার তাকে অপসারণ না করলে কীভাবে অপসারণ করতে হয় আমাদের সেই টুলস জানা আছে। এজন্য আগামীতে মহাসমাবেশ, অনশন করা হবে।
আব্দুস সাত্তার আরও বলেন,আজকের প্রতিবাদ সভা অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ শুরু করেছে। আমি প্রস্তাব করব আগামী ৪ জানুয়ারি মহাসমাবেশের। সেটা ৪০০ পাওয়ারের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে।
সমিতির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্য ২৫ ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ রাখার যে প্রস্তাব জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন আনতে যাচ্ছে তা বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক।
বিসিএস ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালাম এ দাবি তোলেন। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা তাতে সমর্থন জানান।
জাকির হোসেন কালাম বলেন, ‘শুধু সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।’
বিএএসএ’র মহাসচিব মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাকির হোসেন কামাল, নবম ব্যাচের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, নুরুল করিম ভূঁইয়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার একান্ত সচিব সামিউল মাসুদ, ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনে কর্মরত ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ, ২৯ ব্যাচের কর্মকর্তা সাইফুল কবির, বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা। অনলাইনে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা প্রতিবাদ সভায় যুক্ত ছিলেন। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ জোরালো বক্তব্য দেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।