ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ভাঙচুর
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৫৬
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জড়ো হয়ে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তারা স্লোগান দিতে দিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের গেট ভেঙে ঢুকে পড়ে। পরে তারা একযোগে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার রাত ৯টায় ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে ভাষণ দেওয়া হলে, রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি অর্থাৎ শেখ হাসিনার বাবার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অনেকেই।
ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকটিভিস্ট ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা লিখেছেন। রাত ৯টায় তারা বুলডোজার নিয়ে হাজির হবেন বলে জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া পোস্টেও পাওয়া গেছে এ কর্মসূচিতে তাদের সমর্থনের বিষয়টি।
শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত ৮টায় শাহবাগ থেকে এ মিছিল শুরু করার কথা থাকলেও বিকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সন্ধা হতে হতে সেখানে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায় এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়।
একপর্যায়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানে ভাঙচুর শুরু করে।
এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কেউ লিখেছেন, ‘থাকবে না- ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার থাকবে না’। এছাড়া বুলডোজার মিছিলের একটি পোস্টারে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
বুধবার সন্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, ‘রাতে দেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে’। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে লেখেন – ‘উৎসব হোক!’
এর আগে হাসনাত আবদুল্লাহ এক বক্তব্যে বলেন, আমরা হাসিনা চ্যাপ্টার, ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ করে দিয়েছি। ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।