শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

২০১৪ ও ‘১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর, কারণ কী?

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও এক যুগ্ম-সচিবকে বাধ্যতামুলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর যে নির্বাচন সেটাকে আমরা কেউ বলি বিতর্কিত, কেউ বলি অগ্রহণযোগ্য, কেউ বলি দিনের ভোট রাতে ইত্যাদি। এসব জায়গায় যেসব রিটার্নিং কর্মকর্তা, এই ৩ সময়ের রিটার্নিং অফিসারদের সহযোগিতায় নির্বাচন সম্পন্ন করে সরকার।

এই সরকার (আওয়ামী লীগ) তিন মেয়াদে থাকার কারণে আজ আমারা এ দুরবস্থায় পড়েছি। তারা (ওই সময়ের ডিসিরা) অনেক বড় নেগেটিভ ভূমিকা রেখেছিলেন। কোনো একজন ডিসিও বলেননি আমি প্রতিবাদ করবো, আমি রিটার্নিং অফিসার থাকবো না, আমি রিজাইন করলাম, কাজ করবো না।

সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা এরই মধ্যে ৪৩ জনকে (ডিসি) ওএসডি করেছি। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম তাদের ওএসডি করা হয়। আর চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি হলে আমরা বাধ্যতামূলক অবসর দিচ্ছি। মোখলেস উর রহমান বলেন, আজ ২২ জন এরকম যারা ডিসি ছিলেন এখন সচিব রয়েছেন, এমন ২২ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার আদেশ জারি হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আলাদা প্রজ্ঞাপনে ২০১৮ সালে দিনের ভোট আগের রাতে করা সাবেক ৩৩ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) ওএসডি করা হয়। তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যুগ্মসচিব হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

ওএসডি হয়েছেন এমন সাবেক ৩৩ ডিসি হলেন-চাঁদপুরের মো. মাজেদুর রহমান খান, পটুয়াখালীর মতিউল ইসলাম চৌধুরী, পঞ্চগড়ের সাবিনা ইয়াসমিন, মেহেরপুরের ড. আতাউল গনি, পিরোজপুরের আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, সিলেটের এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এবং সাতক্ষীরার ডিসি এসএম মোস্তফা কামাল।

পৃথক আদেশে লক্ষ্মীপুরের অঞ্চন চন্দ্র পাল, কুড়িগ্রামের সুলতানা পারভিন, কিশোরগঞ্জের মো. সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরী, খাগড়াছড়ির শহীদুল ইসলাম, খুলনার হেলাল হোসেন এবং মাগুরার ডিসি আলী আকবরকে ওএসডি করা হয়েছে।

অপর এক আদেশে বান্দরবানের মোহাম্মদ দাউদ ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এজেএম নুরুল হক, বরিশালের এজেডএম অজিয়র রহমান, ভোলার মোহাম্মদ আলম ছিদ্দিকী এবং চুড়াডাঙ্গার ডিসি গোপল চন্দ্র দাসকে ওএসডি করা হয়েছে।

পৃথক আদেশে শরীয়তপুরের কাজী আবু তাহের, নওগাঁর মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, শেরপুরের আনার কলি মাহবুব, নরসিংদির সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এবং হবিগঞ্জের ডিসি মাহমুদুল কবির মুরাদকে ওএসডি করা হয়েছে।

অপর এক আদেশে কুমিল্লার আবুল ফজল মীর, নেত্রকোনার মঈন উল ইসলাম, ফেনীর ওয়াহেদুজ্জামান, রাঙামাটির একেএম মামুনুর রশিদ, রাজশাহীর এসএম আব্দুল কাদের এবং ঠাকুরগাঁওয়ের ডিসি ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিমকে ওএসডি করা হয়েছে। এছাড়া পৃথক এক আদেশে বগুড়ার কবীর মাহমুদ, দিনাজপুরের মাহমুদুল আলম এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ডিসি হায়াত উদ দৌলা খানকে ওএসডি করা হয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top