অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯:৩৬

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সকল একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে সব আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কুয়েটের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা ডিভিশনের পাবলিক রিলেশনস অফিসার শাহেদুজ্জামান শেখ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আগামীকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহতদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ছাত্ররা সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানান। দাবি না মানায় ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে কুয়েট উপাচার্যকে মেডিক্যাল সেন্টারে অবরুদ্ধ করা হয়। তিনি বুধবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান। অবরুদ্ধ থাকা অবস্থাতেই তিনি ১৯ ফেব্রুয়ারির জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনলাইনে উপস্থিত থেকে সভাপতিত্ব করেন।
২১ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের সকল শিক্ষার্থী মিলে ভিসির বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১১টার দিকে ভিসি বাসভবনে প্রবেশ করেন। ভিসি আসার আগেই কে বা কারা তালা ভেঙে ফেলেছিল। এরপর শিক্ষার্থীরা ভিসিকে বাসভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।