মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের উপরেও নজরে রাখতে হবে।’ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে যশোর কালেক্টরেট মিলনায়তনে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পুলিশকে মাঠে কাজে নামতে হবে। তবে পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। পুলিশে তেলবাজি ব্যবস্থা ফেরার চেষ্টা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়নে কমিউনিটি পুলিশিং বাড়াতে হবে।’

তদবির প্রথা এখনও বন্ধ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই তদবির করেন। উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাদের অনেককেই আমি চিনি না। ফলে, আমার নামে কেউ তদবির করলে প্রথমে চা-নাশতা খাওয়াবেন। তারপর এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’

মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশকে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হবে। তবে, পুলিশ সিভিল ড্রেসে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না।’

পুলিশে তেলবাজি ব্যবস্থা ফেরার চেষ্টা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটি বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়নে কমিউনিটি পুলিশিং বাড়াতে হবে।’

মাদকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলার নির্দেশ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদক বন্ধে অ্যাকশন না নিলে চাকরি থাকবে না। আমরা নিরাময় কেন্দ্র খুলতে চাই না, মাদক বন্ধ করতে চাই। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশে নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বদলি-বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) ঘুষ নেওয়া বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তদবির প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি। অনেকেই তদবির করেন। উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাদের অনেক আমি চিনিও না। ফলে আমার নামে কেউ তদবির করলে প্রথমে চা-নাশতা খাওয়াবেন, তারপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’

মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম, পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top