সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

খাদ্য মূল্যস্ফীতি চরমে, বিশ্বব্যাংকের ‘লাল’ তালিকায় কেন বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩

ছবি: সংগৃহীত

খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিতে বাংলাদেশকে লাল তালিকায় রেখেছে বিশ্বব্যাংক। টানা দুই বছর ধরে এই তালিকায় অবস্থান করছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে পারলেও বাংলাদেশ পারছে না। এখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশেই বেশি।

বিভিন্ন দেশের খাদ্য নিরাপত্তার হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। লাল শ্রেণি মানে হচ্ছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক প্রতি ছয় মাসে খাদ্য নিরাপত্তা ও মূল্যস্ফীতি সম্পর্কিত হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ বর্তমানে লাল শ্রেণিতে রয়েছে। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কঙ্গো, ভারত, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান, মাদাগাস্কার, ঘানা, এবং রাশিয়া।

বিশ্বব্যাংক খাদ্য মূল্যস্ফীতির জন্য দেশগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে: বেগুনি, লাল, হলুদ, এবং সবুজ। বেগুনি শ্রেণিতে থাকা দেশগুলোর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশের বেশি, লাল শ্রেণিতে থাকা দেশগুলোর ৫ থেকে ৩০ শতাংশ, হলুদ শ্রেণিতে ২ থেকে ৫ শতাংশ এবং সবুজ শ্রেণিতে ২ শতাংশের কম খাদ্য মূল্যস্ফীতি রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির পর থেকে বিশ্ব বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ৪ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে, আগামী দিনগুলোতে দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত সরবরাহের সীমাবদ্ধতা ও আবহাওয়ার কারণে। ভুট্টার দাম বর্তমানে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। তবে চালের দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বাংলাদেশে গত তিন বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলমান থাকলেও গত এক বছর খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি ছিল। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরের গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top