‘ছোঁ মেরে ছিনতাই’ চক্রের ১৬ সদস্য গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৯:৫৫
রাজধানীতে রিকশা, বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা যাত্রীদের কাছ থেকে ‘ছোঁ মেরে’ মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় একটি চক্রের ১৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন কিশোর রয়েছে। অন্যরা হলেন- মো. মিজান (৩৮), আমিরুল ইসলাম বাবু, শরিফ হোসন (২৩), হৃদয় (২১), মো. রাজ (২০), মো. সুমন (৩২), সোহেল বাবু (২৬), হৃদয় (২২), মনিরুজ্জামান (৪০), মো. নাজমুল (২৬), মো. মনির (৪০), মো. ইমরান (২০), মো. ফারুক (২৮), আশরাফুল ইসলাম সজিব (৩১) ও হাসান (২০)।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতয়ালি জোনাল টিমের বিশেষ অভিযানে রাজধানী ঢাকার উত্তরখান থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও মোটরসাইকেল চারটি চাকু ও দুই জোড়া সোনার দুলসহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নগ্ন হয়ে হাঁটার স্বীকৃতি পেলেন স্পেনের এক ব্যক্তি
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবি শাখার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ১৬ জনের ১২ জনই মাদকাসক্ত। তাদের মধ্যে তিনজন মহাজন রয়েছে। যারা অন্যদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। তারা পরস্পরের যোগসাজশে ঢাকা মহানগরীর মহাখালী, আমতলী, কাকলী, বনানী, ঢাকা গেইট, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা, জসিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহপুর এবং টঙ্গী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাবা পার্টির দলের নেতা মিজান, জয়-বাবু ও শরীফের নেতৃত্বে বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজির যাত্রীদের নিকট থেকে থাবা ও ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গলার চেইনসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে চোরাই মাল ক্রয়-বিক্রয়কারী সুমন, ফারুক ও আশরাফুল ইসলাম সজিবের নিকট উত্তরখান দোবাদিয়া সাইনবোর্ড বিসমিল্লাহ মোবাইল সার্ভিসিং নামক দোকানে বিক্রি করে আসছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উত্তরখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান ডিবি।
বিষয়: রাজধানী ছিনতাই চক্র গ্রেফতার গোয়েন্দা বিভাগ মামলা newsflash71 Latest News newsflash Update News
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।