রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টেলেক্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে ২৪১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:২৯

ছবিঃ সংগৃহিত

টেলিসেবার মাধ্যমে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে টেলেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গেলো দিন রবিবার দুদকের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দায়ের করা এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২ (ক) (২) ধারা লঙ্ঘন করে ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা বা ৩ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৩ মার্কিন ডলার পাচার করেছেন। আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল বা সেবা রপ্তানির মূল্য বাবদ ব্যাংকিং চ্যানেলে ফরেন কারেন্সি/এফসি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঐ টাকা বাংলাদেশে আনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা তা করেননি। আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, টেলেক্স লিমিটেড আন্তর্জাতিক কিংবা বৈদেশিক ইনকামিং কল আনয়ন তথা সেবা রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল বা সেবা রপ্তানি বাবদ রেভিনিউ সংগ্রহ করার জন্য অপারেটর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল এমনকি সেবা রপ্তানির মাধ্যমেও ব্যাংকিং চ্যানেলে ফরেন কারেন্সি দেশে আসার বাধ্যবাধকতা থাকলে তা বাংলাদেশে আনা হয়নি। ঐ অপারেটরের ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১০২ কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ কল মিনিটের বিপরীতে মূল্য বাবদ প্রতি কল মিনিট ০.০৩০ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার ৪০৭ মার্কিন ডলার দেশে আসার কথা। কিন্তু ঐ অর্থের পরিবর্তে মাত্র ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯১৪ মার্কিন ডলার প্রত্যাবাসিত হয়েছে।

অর্থাত্ ৩ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৩ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা দেশে আসেনি। আসামিরা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে অর্থ না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top