মশা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে বেবিচক-ডিএনসিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০২১, ১৯:৫৬
মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী, যাত্রীর স্বজন ও বিমানবন্দরের কর্মীরা। বিগত বছরে মশার কারণে ফ্লাইট বিলম্বের ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসলেও কোনও সমাধান হয়নি।
বিমানবন্দরের বাইরের এলাকা থেকে মশা আসছে এমন অভিযোগ তুলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে দুষছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বিমানবন্দরে পরিচ্ছন্নতার অভাব, মশার প্রজনন ক্ষেত্র আছে এমন অভিযোগ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে পাল্টা দোষ দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। দু পক্ষ মুখোমুখি হলেও কার্যকর সমাধান না হওয়ায় কমছে না মশার উৎপাত।
জানা গেছে, প্রতিবছরই মশার উৎপাতে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন যাত্রী ও তাদের স্বজনরা। শুধু তাই নয় বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোগেন মশার উৎপাতে। বিশেষ করে টার্মিনাল ভবনের বাইরে মশার উৎপাত বেশি। ফলে বাহিরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মী, অপেক্ষমাণ যাত্রী ও তাদের স্বজনদের ভোগান্তি সব চেয়ে বেশি। খোলা স্থানে অতিরিক্ত মশা থাকায় কখনও কখনও উড়োজাহাজের ভেতরে ঢুকে পড়ে মশা। সেই মশা তাড়াতে বিপাকে পড়তে হয় এয়ারলাইন্স কর্মীদের । মশার উৎপাতের কারণে ফ্লাইট নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরিতে ছাড়ার ঘটনাও ঘটেছে। বাধ্য হয়ে মশা তাড়াতে বিভিন্ন ওষুধ ছেটানোর পাশাপাশি ধূপ ব্যবহারও শুরু করা হচ্ছে বিমানবন্দরে।
আগে শাহজালাল বিমানবন্দরে সন্ধ্যার পর মশা মারার জন্য ওষুধ ছেটানো হতো। বর্তমানে দুপুর থেকেই মশা নিধনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া কখনও কখনও ফ্লাইট ছাড়ার আগেও উড়োজাহাজের আশপাশে দেওয়া ওষুধ ছেটানো হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে মশা তাড়াতে নানা উদ্যোগে নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বিগত বছরগুলোতে।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
বিষয়: মশা বেবিচক ডিএনসিসি বিমানবন্দরের যাত্রী
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।