শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গাড়ি নেই, অফিস খোলা, পথে সঙ্গী ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২১, ১৯:৫৮

গাড়ি নেই, অফিস খোলা, পথে সঙ্গী ভোগান্তি

রফিকুল ইসলাম চাকরি করেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। তার অফিস ধানমন্ডিতে। আর বাসা মানিকনগরে। অফিসে আসার জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকাল আটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছান তিনি। কিন্তু গতকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাকে।

করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রোধে সরকারঘোষিত লকডাউনের কারণে গাড়ি বন্ধ থাকায় প্রথমদিন অফিসে যেতে দেরি হয় তার। দ্বিতীয় দিনেও বিপাকে পড়তে হয়েছে তাকে। প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর একটি রিকশায় ওঠেন। তবে ভাড়া দিতে হয় দ্বিগুণ।

অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে শরিফুল বলেন, অফিস খোলা কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রিকশা পেয়েছি। কিন্তু ভাড়া গুণতে হয়েছে দ্বিগুণ। গতকালও একই অবস্থা হয়েছিল। রিকশা পেতে দেরি হওয়ায় গতকাল নির্ধারিত সময়ে অফিসে যেতে পারেননি তিনি।

শুধু শরিফুলই নন, এ রকম হাজারো অফিসগামী মানুষ অফিসে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। রিকশা না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হন।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল থেকে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে। আর এতেই বিপদে পড়েছেন কর্মস্থলে ছুটে যাওয়া মানুষ।

সকালে মানিকনগর এলাকায় সড়কে অনেককে সিএনজি অটোরিকশার ও রিকশার জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুএকটা অটোরিকশা আসলেও সেগুলোতে যাত্রী ছিল। আবার কোনো অটোরিকশা ফাঁকা এলেও যাত্রীর চাপ বেশি দেখে কয়েকগুণ ভাড়া চান। উপায় না পেয়ে যাদের অফিস দূরে তারা ওই ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে ছুটছেন। আবার অনেককে ভাড়া শেয়ার করে যেতে দেখা গেছে।

এছাড়া ইত্তেফাক মোড়, দৈনিক বাংলা, কাকরাইল মোড়েও অফিসমুখী মানুষের ঢল দেখা গেছে। রাস্তায় মোটরসাইকেল ছিল চোখে পড়ার মতো।

বেশ কয়েকটি মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রথমদিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও সিএনজি অটোরিকশার চাহিদা বেড়েছে। রাস্তায় চলাচল করছে এমন বেশিরভাগ সিএনজিতেই যাত্রী আছে। খালি সিনএনজি আসলেই তড়িঘড়ি করে অপেক্ষারত যাত্রীরা সেটা আগে ভাড়া করতে চাইছেন।

বাংলামোটরে দেখা গেছে, গাড়ি না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ পণ‌্য পরিবহনের ভ‌্যানে করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। পিকআপে চড়েও অনেককে যেতে দেখা গেছে। সেখানে মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক।

অফিসগামী যাত্রীদের ভাষ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু অফিস-আদালত বন্ধ করেনি। এ কারণে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top