পবিত্র কাবা শরীফের আদলে রাজধানীতে মসজিদ নির্মাণ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৪, ১৭:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবা শরীফের আদলে ঢাকায় যদি মসজিদ নির্মাণ হয়, তবে কেমন হয় বলুনতো। রাজধানীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বপ্ন এবার কিছুটা হলেও পূরণ হতে চলেছে।

আসলে ঢাকাকে বলা হয় মসজিদের শহর। এই শহরের অলি-গলিতে ছড়িয়ে আছে নতুন পুরাতন হাজারো মসজিদ। কিন্তু রাজধানীর ভাটাটার মসজিদ আল মোস্তফা যেনও সবার থেকে আলাদা। এখানে এলে একটা অন্যরকম অনুভুতি কাজ করে। প্রশান্তিতে ভরে উঠে মন।

অনিন্দ্যসুন্দর এই মসজিদটির অবস্থান রাজধানীর মাদানী এভিনিউ সড়কে। এটি একশফিট সড়ক নামেও পরিচিত। ইউনাইট্ডে ইউনিভার্সিটির প্রবেশমুখে এই মসজিদটির অবস্থান। মসজিদটির একদিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, অপরদিকে ইউনাইটেড প্রকল্প। এই কর্মযজ্ঞের আয়োজক ইউনাইটেড গ্রুপ।

পবিত্র কাবা শরীফের আদলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। দেখলে যেন মনে হবে মসজিদটির নির্মাণ কাঠামোতে কাবা শরীফের ছোঁয়া লেগে আছে। মসজিদ আল মোস্তফা যেন আভিজাত্য আর সম্প্রীতি ও সৌহার্দের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আসলে মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর, শান্তি ও কল্যাণের ঘর। মানবতার ইহ ও পরকালীন মুক্তি ও সামগ্রিক কল্যাণের কেন্দ্রবিন্দু, ইবাদতের জায়গা। যেখানে মহান রবের সৃষ্টির শুকরিয়া জানিয়ে দিনে পাঁচবার সিজদায় অবনত হন মুসলমানরা।

মসজিদ আল মোস্তফার নান্দনিক স্থাপনা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। এক গম্ভুজের নিচে চার তলা মসজিদটি যেন নান্দনিকতায় ভরা। এর বাইরের ডিজাইন যেমন দৃষ্টিনন্দন, ভেতরের কারুকাজ তেমনি অসাধারণ।

মসজিদের ভেতরের ডিজাইনে রয়েছে শিল্পের মুন্সিয়ানা। দৃষ্টিনন্দন ক্যালিওগ্রাফি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন আর প্রকৃতির মিশেলে ঘটবে প্রার্থনার গভীর মন:সংযোগ। বাহারি রঙয়ের আলোকসজ্জা সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে মসজিদ আল মোস্তফার। মসজিদের ভেতরে প্রচুর আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকায় দিনেরবেলা বাতি জ্বালানোর কোন প্রয়োজন হয়না।

১২ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন এই মসজিদে। যারা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারবেন না তাদের জন্য রয়েছে বসে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা। মূল অংশে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। শুক্রবার উপড়ের তলাগুলো খুলে দেয়া হয়।

মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নারীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদে রয়েছে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা। মসজিদের ভেতরে রয়েছে লিফট ও চলন্ত সিড়ি।

মসজিদের বাইরের অংশে সাদা কালোর কম্বিনেশন যেনও আভিজাত্যের প্রতীক। পাখির চোখে মসজিদটি দেখলে হৃদয় জুড়িয়ে যাবে আপনার। মসজিদের সামনে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির বিশাল মাঠ সৌন্দর্যের বাড়তি যোগান দিয়েছে। মসজিদটির রয়েছে গাড়ি পার্কংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা।

এই মসজিদে একটু চোখের পানি ফেলতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এই মসজিদ দেখতে হলে প্রথমে আসতে হবে রাজধানীর ভাটারা থানার  সামনে। তারপর অটোরিক্সায় যেতে হবে একশফিট ইউনাইটড ইউনিভার্সিটির সামনে।  

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top