শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

ভাত দেবার মুরোদ নেই- কিল দেবার গোসাই, বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩:০২

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়করণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের ঘটনার সমালোচনা করেছেন দেশের আলোচিত ইসলামিক বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পুলিশি হামলার সমালোচনা করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এ বক্তা।

শায়খ আহমাদুল্লাহর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল দেবার গোসাই। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার ক্ষেত্রে এই জিনিসটাই ঘটছে বিগত ৪০ বছর ধরে। সিলেবাস, কারিকুলাম, নীতিমালা সরকার সবই চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ন্যূনতম জীবন ধারণের মতো বেতনটুকুও দিচ্ছে না।

সম্মানীয় শিক্ষকরা যখন অভাব-অনটনের কাছে হার মানেন, একান্ত মানবিক ও যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্যও রাস্তায় নামতে বাধ্য হন। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। সরকারের উচিত, এই শিক্ষকদের প্রতি সুবিচার করা, জাতির ৪০ বছরের ভুল শুধরে নেওয়া। আশা করি, সরকার সুবেবচনার পরিচয় দেবে।’

এছাড়া তার পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তিনি আরও লিখেন, ‘অথচ একই সময়ে, একই পরিপত্রে চালু হওয়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২০১৩ সালে সরকারিকরণ করা হয়েছে। শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ও রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুল উভয় ধারার শিক্ষকদেরই সম্মানী ছিল ৫০০ টাকা।

৪০ বছরের ব্যবধানে রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুলগুলোর শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ৩০ হাজারের মতো, স্কুলগুলো ভবন পেয়েছে, নান্দনিক সীমানা প্রাচীর পেয়েছে। সেখানে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ভাতা ৩ হাজারও না। এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কী হতে পারে!’ এরআগে জাতীয়করণের ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি’। সূত্র: ইত্তেফাক




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top