মৃত্যু ও শোক: ইসলামে বিলাপ ও কান্নার দিকনির্দেশনা
ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:১৪
মৃত্যু মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য সত্য। পৃথিবীর আলোয় জন্ম নিলে একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা—সবার জন্য মৃত্যু অনিবার্য। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল কিয়ামতের দিনে পাবে।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫, সুরা আনকাবুত : ৫৭)
মৃত্যুর পর প্রত্যেকের সামনে তার চিরস্থায়ী আবাসস্থল প্রদর্শিত হয়। হাদিসে বর্ণিত, মৃত ব্যক্তি জান্নাতি হলে জান্নাতের, জাহান্নামী হলে জাহান্নামের স্থান তার জন্য দেখানো হয়।
বাবা-মা বা প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ স্বাভাবিক। তবে ইসলামে বিলাপ বা অতিরিক্ত কপাল চাপড়ে কান্না করা, চিৎকার করা বৈধ নয়। হজরত মুগীরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, মৃতের জন্য বিলাপ করলে তাকে তার উপর আজাব হতে পারে। যারা গাল চাপড়ে বা জামার বুক ছিঁড়ে জাহিলিয়াত যুগের মতো চিৎকার করে, তারা ইসলামের পথে নয়। (বোখারি : ১২১৪, ১২১৭)
সিলেটের জামিয়া কৌড়িয়ার প্রধান মুফতি মাওলানা হেলাল আসহাব কাসেমি বলেছেন, যদি মৃত ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় অবগত থাকেন যে তার জন্য বিলাপ করা হবে এবং তিনি তা পছন্দ করেন, তবে তার জন্য কোনো কবরে শাস্তি হবে না। অন্যথায় বিলাপকারীর ওপর শাস্তি প্রযোজ্য।
শোক বা বিপদে ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।’ (সুরা বাকারা : ১৫৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যেসব যাতনা, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ বা কষ্ট একজন মুসলিমের ওপর আসে, সেগুলো তার গুনাহ মাফ করার সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। (বোখারি : ৫২৩৯)
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।