বৃহঃস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সুচের ভয় কমানোর সহজ ও কার্যকর কৌশল

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৩

সংগৃহীত

অনেক মানুষ রক্ত পরীক্ষা করাতে বা ইনজেকশন নিতে গেলে সুচ দেখেই ভয় পেয়ে যান। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই ভয়কে ট্রাইপানোফোবিয়া বা নীডল ফোবিয়া বলা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন হয় যে ভয়ের কারণে তারা দরকারি চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে দেরি করেন। তবে কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলে এই ভয় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

সুচের ভয়ের সাধারণ লক্ষণ

হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, কাঁপুনি

বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অনুভূতি

শৈশবে সুচ নিয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা

ব্যথা পাওয়ার ভয় বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক

সুচের ভয় কমানোর কার্যকর উপায়

১. জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি 

থেরাপিস্টের সহায়তায় ভয়ের উৎস খুঁজে বের করা হয় এবং সুচ নিয়ে ভুল ধারণা বা নেতিবাচক চিন্তা পরিবর্তন করা হয়।

২. মনোযোগ অন্যদিকে সরানো

ইনজেকশন বা রক্ত পরীক্ষার সময় গান শোনা, ভিডিও দেখা বা বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা মনকে ব্যস্ত রাখে এবং ভয় কমাতে সাহায্য করে।

৩. নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাস

ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নেওয়া ও ছেড়ে দেওয়া শরীরকে শান্ত রাখে। এতে মাথা হালকা লাগা বা অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকিও কমে।

৪. পেশি শক্ত করার কৌশল

রক্ত নেওয়ার আগে প্রায় ৩০ সেকেন্ড হাত-পায়ের পেশি টানটান করে ধরে রাখা ও ছেড়ে দেওয়া রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

৫. আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া

পর্যাপ্ত ঘুম, পর্যাপ্ত পানি পান এবং শরীর-মন দুটিকে বিশ্রামে রাখা ভয়ের মাত্রা কমায়। ক্লান্তি বা পানি স্বল্পতা ভয় বাড়াতে পারে।

৬. স্বাস্থ্যকর্মীকে জানানো

পরীক্ষার আগে ভয় আছে তা স্পষ্টভাবে জানালে স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও সতর্ক ও শান্তভাবে কাজ করেন, যা আপনাকে মানসিকভাবে আশ্বস্ত করে।

এই সহজ পদক্ষেপগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে সুচের ভয় অনেকটাই কমে যায় এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেওয়া সহজ হয়ে ওঠে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top