বাংলাদেশের বোলিং তোপে অল্পতেই গুঁটিয়ে গেল আফগানিস্তান

শাকিল খান | প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:০৩

ছবি: সংগৃহীত

রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের দারুণ ওপেনিং জুটি ভয় দেখাচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে সময় যত গড়িয়েছে, তত ইনিংসের লাগাম নিজেদের দিকে টেনেছে বাংলাদেশ। ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি ও ২ উইকেট হারানোর আগে ৮৩ রান করা আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে মাত্র ১৫৬ রানে। 

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ধর্মশালায় আফগানিস্তান এদিন টিকতে পেরেছে মাত্র ৩৭ ওভার ২ বল। যার বেশিরভাগ কৃতিত্ব দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের। দুর্দান্ত ইকোনমি রেখে দুজনে মিলে তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

৪৭ রানের মাথায় এদিন নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলীয় নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইব্রাহিমকে ফেরান তিনি। সাকিবের আউটসাইড অফের ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে বল টপ এজ হয়ে চলে যায় ডিপ স্কয়ার লেগ অঞ্চলে। তালুবন্দী করতে কোনো ভুল করেননি তরুণ ক্রিকেটার তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করে আফগানিস্তান। 

৮৩ রানের মাথায় আবারও সাকিবের আঘাত। সেই একই টপ এজ হয়ে ফেরেন রহমত। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদিও। ২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১১২ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দেন তিনি। তবে বাংলাদেশ তাদের কাঙ্খিত উইকেট পায় তার পরের ওভারে। মোস্তাফিজের বলে তানজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহমানুল্লাহ। ৬২ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি। 

৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানদের এরপর আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ১২২ রানের মাথায় নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট পূরণ করেন সাকিব। রশিদ খান যখন উইকেটে সেট হয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আবার মিরাজের আঘাত। সরাসরি বোল্ড করেন রশিদকে। দলের সঙ্গে আর ৬ রান যোগ করতেই দারুণ গতিতে রান তুলতে থাকা আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ১৫৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আফগানরা আর কোনো রানই করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭৬ বল বাকি থাকতেই ১৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানরা। 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top