বৃহঃস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

টাইব্রেকারের নাটকীয়তায় শেষ আটে রিয়াল মাদ্রিদ

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৮

ছবি: রয়টার্স

অবিশ্বাস্য এক ম্যাচের শুরুতে কিছু বুঝে উঠার আগেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল শোধ করে সহজেই শেষ আটে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ এসেছিলো, কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুর জুনিয়র। অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে সেখানে নাটকীয়তার পর শেষ আট নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রিয়ালের কাছে অ্যাতলেটিকোর বিদায় নতুন কিছু না। দুইবার তো ফাইনালেই হেরেছে তারা। তবে মেট্রোপলিতানো স্টেডিয়ামের হারটা একটু আলাদাভাবেই হয়ত পোড়াবে অ্যাতলেটিকো ভক্তদের। হুলিয়ান আলভারেজের পেনাল্টি যেভাবে বাতিল হয়েছে কিংবা অ্যান্তোনি রুদিগারের শট ইয়ান ওবলাকের হাতে লেগেও জালে জড়ানো… অ্যাতলেটিকোর আক্ষেপ হতেই পারে।

বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে কনর গ্যালাহেরের ৩০ সেকেন্ডে করা গোলে মূল ম্যাচ অ্যাতলাটিকো ১-০ ব্যবধানে জিতলেও দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান হয় ২-২। অতিরিক্ত সময়েও কেউ গোল না পাওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তাতে ৪-২ গোলে জিতেছে রিয়াল। পেনাল্টি শ্যুট আউটে অ্যাতলেটিকোর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজের শট বাতিল হয় ডাবল টাচের কারণে। এর বাইরে লরেন্তে ব্যর্থ হন গোল করতে, তার শট লাগে বারে। রিয়ালে লুকাস ভাসকেস ছাড়া বাকি বল জড়ান জালে। দুই দলের প্রথম লেগে রিয়াল জিতেছিলো ২-১ ব্যবধানে।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য একান্তই অ্যাতলেটিকোর। প্রথম লেগের লিড হারাতে এক মিনিটও লাগেনি রিয়ালের। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে দারুণ এক আক্রমণ থেকে গোল করেন কনর গ্যালাগার। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি আতলেতিকোর সবচেয়ে দ্রুততম গোল। এই গোলের পরই শুরু হয় উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচ। রিয়াল তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেছে। কাউন্টার প্রেসিং থেকে অ্যাতলেটিকোও বের করে দিয়েছে নিজেদের সবটা।

তবে রিয়াল মাদ্রিদ খেই হারাচ্ছিল অ্যাতলেটিকো বক্সের কাছে। ডি বক্সের বাইরে রিয়াল যতটা আগ্রাসী ছিল, ডি-বক্সে ছিল ততটাই হতাশার। এরইমাঝে অ্যাতলেটিকো অবশ্য দারুণ দুই সুযোগ পেয়েছিল অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে যাবার।

২৫ মিনিটে দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ে রিয়ালকে বাঁচান থিবো কোর্তোয়া। ৩৫ মিনিটে আরও একবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল অ্যাতলেটিকো। তবে এবারও অল্পের জন্য হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। একটু পর ফের আলভারেজকে হতাশ করেন কোর্তোয়া।

৬৮ মিনিটে রিয়ালের সামনে চলে আসে ম্যাচের অন্যতম সেরা সুযোগ। দারুণ গতিতে অ্যাতলেটিকোর দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলেন কিলিয়ান এমবাপে। এরপরেই তাকে ফাউল করতে বাধ্য হন ক্লেমেন্ত লংলে। পেনাল্টি পেয়ে যায় মাদ্রিদ। যদিও সেটা মিসই করে বসেন ভিনিসিয়ুস।

ম্যাচের বাকি সময়টা আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে পার হলেও গোল পাওয়া হয়নি কারোরই। ৯০ মিনিট আর ১২০ মিনিটের খেলা শেষেও অ্যাগ্রিগেট ছিল ২-২। সেখান থেকে টাইব্রেকে রিয়াল পেয়েছে মনে রাখার মতো এক জয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top