ইউরোপের নদী-নালা শুকিয়ে যাচ্ছে
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২২, ১০:২৭
ফ্রান্সের দীর্ঘতম নদী লয়ারের কিছু জায়গায় এখন পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায়। এই নদীটি এর আগে কখনও এতোটা শুস্ক হয়নি। জার্মানির রাইন নদী দ্রুত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। ইতালির পো নদীর পানি প্রবাহ এখন স্বাভাবিকের চেয়ে দুই মিটার কম, যার প্রভাব পড়ছে চাষাবাদে। সার্বিয়ার দানিউব নদীতে এখন খনন শুরু হয়েছে।
সমগ্র ইউরোপ জুড়ে খরা এখন একসময়ের প্রমত্তা নদীগুলোর পানি প্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে শিল্প, পণ্য পরিবহন, বিদ্যুৎ ও খাদ্য উৎপাদনে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্বাভাবিকভা শুষ্ক শীত ও বসন্তের পরে এবার গ্রীষ্মের রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা এবং বারবার তাপপ্রবাহ ইউরোপের প্রয়োজনীয় জলপথগুলোতে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। পশ্চিম, মধ্য ও দক্ষিণ ইউরোপজুড়ে প্রায় দুই মাস ধরে কোনও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি এবং শিগগিরই বড় মাত্রায় বৃষ্টিপাত হবে তার কোনও পূর্বাভাস নেই। আশঙ্কার কথা হচ্ছে, আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মহাদেশে এবারের খরা ৫০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশনের জয়েন্ট রিসার্চ সেন্টারের আন্দ্রেয়া টরেটি বলেন, ‘আমরা এই বছরের পরিস্থিতি পুরোপুরি বিশ্লেষণ করিনি, কারণ এটি এখনও চলছে। গত ৫০০ বছরে ২০১৮ সালের খরার মতো পরিস্থিতি হয়নি। কিন্তু এই বছর, আমি মনে করি, পরিস্থিতি আরও খারাপ।’
তিনি বলেন, ‘শুষ্ক অবস্থার উচ্চ ঝুঁকি’ আগামী তিন মাস অব্যাহত থাকবে। খরার তীব্রতা ও সময় ‘উত্তর এবং দক্ষিণ ইউরোপে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।’
জার্মানির ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি (বিএফজি) জানিয়েছে, রাইন নদীর পানি প্রবাহ অন্তত আগামী সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত কমতে থাকবে।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।