মালিকের মৃত্যুর শোকে প্রাণ গেল কুকুরের

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০২২, ০৫:৪৩

মালিকের মৃত্যুর শোকে প্রাণ গেল কুকুরের

দুই দিন আগে মারা যান এক বৃদ্ধ। এরপর শোকে কাতর হয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির পোষা কুকুর। মালিক হারানোর শোকে কুকুরটি এতোটাই কাতর হয়ে পড়ে যে, খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ করে দেয় সে।

একপর্যায়ে টানা দুই দিনের অনশনে মারা যায় কুকুরটি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। শনিবার (২০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসুস্থতার কারণে মালিকের মৃত্যুর পর টানা দুই দিন ধরে অনশনের পর চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে একটি কুকুর মারা গেছে। মৃত ওই বৃদ্ধের নাতনির বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, ১০ বছরের বেশি বয়সী গ্রামের এই কুকুরটি একেবারে শৈশব থেকে বৃদ্ধের সাথে ছিল।

মালিকের মৃত্যুর পর নিজের শেষ দুই দিন পোষ্য ওই কুকুরটি (বৃদ্ধের) কফিনের পাশে শুয়ে কাটিয়েছে। এসময় কুকুরটি কোনো খাবার খায়নি বা পানি পান করেনি। এমনকি এই সময়টিতে নড়াচড়াও করেনি কুকুরটি।

সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট বলছে, মৃত্যুর আগে অর্থাৎ নিজের জীবনের শেষ মুহূর্তে কুকুরটি তার মালিকের একটি শেষ ইচ্ছা পূরণ করেছে। তার দাদা মৃত্যুর আগে তাদের পুরাতন বাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই তিনি মারা যান। অবশ্য কুকুরটি তার মালিকের শেষ ইচ্ছা পূরণ করেছে। বৃদ্ধের বড় ছেলে সম্প্রতি পুরোনো ওই বাড়িটি সংস্কার করেছে।

মৃত ওই বৃদ্ধের নাতনি সান বলেন, ‘কুকুরটি আমার পরিবারের পুরোনো বাড়িতে গিয়েছিল এবং সেখানেই সে মারা যায়। যেটি আমার দাদার অপূর্ণ ইচ্ছা ছিল।’

সান আরও বলেন, কুকুরটি তার দাদার জন্মদিনে মারা গেছে। এটি কাকতালীয় ঘটনা হলেও অনেকে বলছেন, এটি এখন তাদের ‘ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে’ বাধ্য করেছে।

অনলাইনে একজন ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন: ‘কুকুরটি ভয় পেয়েছিল যে, তার মালিক স্বর্গে একাকী হয়ে যাবেন, তাই সে তাকে সঙ্গ দিতে সেখানে চলে গেল।’

ব্যতিক্রমী এই সংবাদটি চীনা ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চীনের টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে ২৩ কোটি ভিউ পেয়েছে। অনেকে সেখানে কুকুরের সাথে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

একজন ব্যক্তি সেখানে লিখেছেন, ‘আমার দাদা গত ১৩ তারিখে মারা গেছেন, এবং এরপর থেকে তার কুকুর আর ঘুমায়নি। কুকুরটি শেষ পর্যন্ত আমার দাদার জামাকাপড়ের একটিতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, যেটি আমার দাদী বের করে মেঝেতে রেখেছিলেন।’

অন্য একজন মন্তব্য করেছেন: ‘তারা স্বর্গে পুনরায় মিলিত হয়েছে এবং চিরকাল একসাথে থাকবে।’

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top