মুহূর্তেই মাঠটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, তদন্তের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, পদদলিত হয়ে মৃত্যু ১৭৪
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২২, ০২:৩৩
শনিবার (১ অক্টোবর) দেশটির পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, আরেমা এবং পার্সেবায়া সুরাবায়ার মধ্যকার ম্যাচে আরেমা ২-৩ গোলের ব্যবধানে হেরে যায়। দল হেরে যাওয়ায় ভক্তরা মাঠে নেমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি মাঠে থাকা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের ওপর হামলা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়।
দেশটির মুখ্য নিরাপত্তা মন্ত্রী বলেছেন, স্টেডিয়ামটিতে দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৮ হাজার। এর বাইরে আরো চার হাজার দর্শকের সমাগম হয়েছিল।
পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান জানান, মাঠটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তারা পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা শুরু করে, গাড়ি ভাঙতেও শুরু করে। পুলিশ তখন কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর পদদলিত হওয়া ও শ্বাসরোধের মতো ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মাঠের সকল দর্শক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ছিল না। কেবল প্রায় তিন হাজার দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েছিল।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লীগের সবগুলো খেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
এ ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল লিগ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং আরেমাকে বাকি মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটির সরকার পুরো ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
পূর্ব জাভা প্রদেশের গভর্নর খফিফাহ ইন্দর পারাওয়ানসা গণমাধ্যমকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
এরআগে, ১৯৬৪ সালে লিমাতে পেরু-আর্জেন্টিনা অলিম্পিক বাছাইপর্বের ম্যাচের সময় পদদলিত হয়ে ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ১৯৮৫ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে একটি প্রাচীরের সঙ্গে ফুটবল ভক্ত-দর্শকরা পিষ্ট হয়ে ৩৯ জন মারা যান।
বিষয়: ইন্দোনেশিয়া ফুটবল খেলা সংঘর্ষ নিহত
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।