বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

একটু দূর থেকে দেখলে মনে হয় মসজিদটি যেন পানির ওপর ভাসছে

সাগরে ভাসমান বিশ্বের প্রথম মসজিদ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০০:৫৪

মসজিদুর রহমাহ

মসজিদকে বলা হয় আল্লাহর ঘর। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে দিন দিন বাড়ছে মুসলিমের সংখ্যা, সেই সঙ্গে বাড়ছে মসজিদও। বিশ্বে এখন মোট মসজিদ রয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ।

এরমধ্যে সমুদ্রে ভাসমান বিশ্বের সর্ব প্রথম মসজিদ মসজিদুর রহমাহ। এটি প্রায় তিন যুগ আগে সৌদি আরবের জেদ্দায় লোহিত সাগরের তীরঘেঁষে নির্মিত হয়।

আকর্ষণীয় বৃত্তাকার আকৃতির সুদৃশ্য গম্বুজ ও সুউচ্চ আলোকিত মিনারবিশিষ্ট মসজিদটি একটু দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন পানির ওপর ভাসছে। এটি ‘আল মসজিদুল আয়েম’ (ভাসমান মসজিদ) নামেও পরিচিত।

আল আয়েম মসজিদ ১৯৮৫ সালে ২৪০০ বর্গমিটার জায়গার ওপর নির্মাণ করা হয়। নারী-পুরুষ মিলিয়ে এখানে একসঙ্গে অন্তত ২হাজার ৩শ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ তৈরিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও রসদসামগ্রীর ব্যবহার করা হয়েছে। এর চমৎকার আলোকসজ্জা ও সাউন্ডসিস্টেমও অত্যন্ত উন্নত।

মসজিদে বড় গম্বুজের পাশাপাশি রয়েছে ছোট ছোট আরও ৫২টি গোলাকৃতির গম্বুজ এবং আঙিনায় ২৩টি সয়ংক্রিয় ছাতা। এসব গম্বুজ ও ছাতার ওপর লিপিবদ্ধ করা হয়েছে পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত।

প্রাচীন ইসলামী নকশাকৃতিতে বড় গম্বুজটির চারপাশে রাখা হয়েছে অন্তত ৫৬টি জানালা। নারীদের নামাজের স্থানটি সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি। মসজিদের মাঝ বরাবর সেটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় স্থাপন করা হয়েছে। তাতে ৫শ মুসল্লি একত্রে নামাজ পড়তে পারেন।

মসজিদটির গঠন নিয়ে প্রকৌশলীরা বলেন, সমুদ্রের শেওলা মসজিদুর রহমাহের অবকাঠামোয় কোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারে না। নির্মাতারা সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা, তীব্র স্রোত এবং পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করেই রসদসামগ্রী ব্যবহার করেছেন। মসজিদটি পানির ওপর এমনভাবে স্থাপন করেছেন, যেন পুরো মসজিদ কমপ্লেক্স সমুদ্রের কোলে ভাসছে।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top